নিজস্ব প্রতিবেদক :
পরীমনি ও সিয়াম অভিনীত বহুল আলোচিত সিনেমা ‘সুন্দরবন অ্যাডভেঞ্চার’ এর শুটিং শেষ হলো মঙ্গলবার (১৫ সেপ্টেম্বর)। ঢাকার সদরঘাট থেকে যাত্রা শুরু হয় ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমার। এরপর সুন্দরবন হয়ে লকডাউনে আটকে যায়। লকডাউনের পরে আবার আকাশপথে খুলনা। এরপর আবার এফডিসি হয়ে ছবিটির শুটিং শেষ হয় সিরাজগঞ্জ গিয়ে। এ যেন সত্যিই এক রোমাঞ্চকর অ্যাডভেঞ্চার।
‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’ সিনেমার ক্যাপ্টেন অব দ্যা শিপ অর্থাৎ পরিচালক আবু রায়হান জুয়েল এর নির্মিত প্রথম সিনেমা এটি। ২০১৮-১৯ অর্থবছরে সরকারি অনুদান প্রাপ্ত শিশুতোষ সিনেমাটি মুহাম্মদ জাফর ইকবালের ‘রাতুলের রাত রাতুলের দিন’ উপন্যাস অবলম্বনে নির্মিত হচ্ছে।
এই ছবির শুটিং প্যাকআপ করার পর চিত্রনায়িকা পরীমনি ফেসবুক লাইভে এসে বেশ উচ্ছ্বাস প্রকাশ করেন। তিনি এ সময় বলেন, ‘আজ আমরা ‘তুই কি আমায় ভালোবাসিস’ গান দিয়ে ছবির কাজ শেষ করলাম। পুরো ছবিতে বলা যায় মেকআপবিহীন পরীকে দেখতে পারবেন দর্শকরা। পাশাপাশি এতে কাজ করেছে অর্ধশত শিশুশিল্পী। তাদের সঙ্গে এভাবে কাজ করাটাও আমার জন্য একেবারে নতুন অভিজ্ঞতা’।
এ সময় চিত্রনায়ক সিয়াম আহমেদ বলেন, ‘এটা জুয়েল (নির্মাতা) ভাইয়ের প্রথম সিনেমা। প্রথম সন্তান। আমরা সে সন্তানকে বড় করার চেষ্টা করেছি। অনেক সময় প্রয়োজনের চেয়েও কষ্ট বেশি করেছি। সত্যি ভালো লাগছে যে, অবশেষে সুন্দরভাবে ছবিটির কাজ শেষ করতে পেরেছি। এ জন্য প্রাপ্তির আনন্দটাও বেশি হবে। এখন দর্শকরা ছবিটি গ্রহণ করলে ভালো লাগবে।’
পরী-সিয়ামের আরও খবর
⇒ ব্যতিক্রমী প্রচারণায় ‘বিশ্বসুন্দরী’
সিনেমাটির রাতুল চরিত্রে অভিনয় করেন সিয়াম ও তৃষা চরিত্রে পরীমনি। গত ১৪ মার্চ ১২০ জনের একটি দল সদরঘাট থেকে খুলনায় যায় টানা ২৫ দিনের সফরের উদ্দেশে। সদরঘাট টার্মিনালে সাহিত্যিক ও শিক্ষাবিদ মুহাম্মদ জাফর ইকবাল সিনেমা সংশ্লিষ্টদের মিষ্টিমুখ করিয়ে বিদায় জানান।
এরপর করোনা শুরু হলে কিছুটা কাজ বাকি রেখেই ঢাকায় ফেরেন সিনেমার টিম। লকডাউনের জন্য টানা কয়েক সপ্তাহ নদীতে কাটাতে হয়েছে তাদের। এরপর লকডাউন খোলার পর গত ৪ সেপ্টেম্বর অভ্যন্তরীণ ফ্লাইটে চেপে যশোরের উদ্দেশে উড়াল দেন নির্মাতা রায়হান জুয়েলসহ পুরো টিম।
এরপর যশোর থেকে খুলনা হয়ে ঢাকায় আসেন তারা। সেখান থেকে সিরাজগঞ্জে গিয়ে সিনেমার শুটিং শেষ করেন ‘অ্যাডভেঞ্চার অব সুন্দরবন’টিম ।
নাট্য নির্মাতা আবু রায়হান জুয়েল সিনেমাটি প্রসঙ্গে বলেন, ‘অবশেষে ছবির কাজ শেষ হলো। ফাইনালি ভালো কিছু হোক- এটাই আমার চাওয়া।’
ছবিটিতে সিয়াম আহমেদ ও পরীমনি ছাড়াও আজাদ আবুল কালাম, কচি খন্দকারসহ অর্ধশতাধিক শিশুশিল্পী অভিনয় করেছেন।