‘লেটস সিনেমা’ স্লোগানে আগামী ২৬ থেকে ২৮ ডিসেম্বর পর্যন্ত অনুষ্ঠিত হবে গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভাল বাংলাদেশ। জয় বাংলা ইয়ুথ পুরস্কারপ্রাপ্ত দেশের একমাত্র চলচ্চিত্র সংসদ- সিনেমা বাংলাদেশ-এর আয়োজনে বান্দরবান পার্বত্য অঞ্চলে বসছে উৎসবের এ আসর।
নৈসর্গিক বান্দরবানের ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্ঠীর সাংস্কৃতিক ইনস্টিটিউট মিলনায়তনে সিনেমা বাংলাদেশের প্রধান উপদেষ্টা নাট্যজন রামেন্দ্র মজুমদার উদ্বোধন করবেন। এর আগে লক্ষ্মীপুর, রংপুর ও ময়মনসিংহে এ উৎসবের আসর হয়। এটি এ সংগঠনের চতুর্থ আসর।
গ্লোবাল ইয়ুথ ফিল্ম ফেস্টিভালের বিচারক হিসেবে থাকবেন চিত্রনির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, অভিনেত্রী ববিতা, নির্মাতা আবু সাইয়ীদ, নাট্যনির্দেশক-অভিনেত্রী ত্রপা মজুমদার, প্রযোজক-পরিচালক আরিফুর রহমান এবং কান চলচ্চিত্র উৎসবে বিচারকের দায়িত্ব পালন করা দেশের একমাত্র নারী ফিপরেসকি সদস্য সাদিয়া খালিদ রীতি।
১০১ দেশের তরুণদের নির্মিত প্রায় ১৪০০ চলচ্চিত্র উৎসবের আন্তর্জাতিক প্রতিযোগিতা বিভাগে জমা পড়েছে। দেশ-বিদেশের ৭৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে এ উৎসবে। এদের মধ্যে ২৮ ডিসেম্বর সমাপনী দিনে বিচারকের রায়ে পুরস্কারপ্রাপ্ত সেরা সাতটি চলচ্চিত্রের নাম ঘোষণা করা হবে।
এছাড়া উৎসবের অংশ হিসেবে একটি চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা অনুষ্ঠিত হবে। কর্মশালায় সাম্প্রতিক সময়ের গুরুত্বপূর্ণ কয়েকটি চলচ্চিত্র প্রদর্শিন করা হবে। এখানে মোরশেদুল ইসলামের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আমার ‘বন্ধু রাশেদ’, গিয়াস উদ্দিন সেলিমের সিনেমা ‘স্বপ্নজাল’ ও এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক তানিম রহমান অংশুর ছবি ‘ন ডরাই’ প্রদর্শিত হবে। ছবি প্রদর্শনীর শেষে সংশ্লিষ্ট পরিচালক ও কলাকুশলীরা দর্শকদের সঙ্গে মতবিনিময় করবেন।
উৎসব প্রযোজক হেমন্ত সাদীক জানিয়েছেন, উৎসবের দ্বিতীয় আসর থেকে উপমহাদেশের চলচ্চিত্রের পথিকৃৎ বাঙালি চলচ্চিত্রকার হীরালাল সেনের নামে একটি পুরস্কারের প্রবর্তন করা হয়েছে। এবার এ বিভাগে বাংলাদেশি তরুণদের শতাধিক চলচ্চিত্র জমা পড়েছে।
বর্তমান করোনা পরিস্থিতির কারণে কোনও বিদেশি নির্মাতাকে শারীরিকভাবে উৎসবে উপস্থিত হওয়ার আমন্ত্রণ জানানো হয়নি জানিয়ে উৎসব পরিচালক জিসান মাহাদি বলেন, তবে তারা বিশ্বের নানা প্রান্ত থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যুক্ত থাকবেন।
পুরো আয়োজনটিই স্বাস্থ্যবিধি মেনে অনুষ্ঠিত করা হবে। তবে উৎসবটি সবার জন্য উন্মুক্ত থাকবে।