বাংলাদেশের মিডিয়ার দু’জন গুনী নাট্যকার মান্নান হীরা ও সেলিম আহমেদ। ২৩ ডিসেম্বর বুধবার তারা একইদিনে দুজন চলে গেলেন না ফেরার দেশে। চলচ্চিত্র নির্মাতা ও নাট্যকার মান্নান হীরা রাত আটটার দিকে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়ে মারা যান। এদিকে সকালে মারা গেছেন সেলিম আহমেদ।
আগে থেকেই হৃদরোগে ভুগছিলেন মান্নান হীরা। বৃহস্পতিবার (২৪ ডিসেম্বর) সকাল ১১টা থেকে ১২টা পর্যন্ত শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় নাট্যশালা প্রাঙ্গণে শেষ শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মান্নান হীরার মরদেহ রাখা হবে। সেগুনবাগিচা মসজিদে জানাজা শেষে তাঁর মরদেহ দাফনের জন্য সিরাজগঞ্জের গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হবে।
এদিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা মান্নান হীরার মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন ও তাঁর শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন। মান্নান হীরা ছিলেন পথনাটক পরিষদের সভাপতি। তিনি আরণ্যক নাট্যদলের সভাপতি হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেছিলেন। মান্নান হীরা ‘ক্ষুদিরামের দেশে’, ‘লাল জমিন’, ‘ভাগের মানুষ’, ‘ময়ূর সিংহাসন’, ‘জননী বীরাঙ্গনা’, ‘সাদা-কালো’ প্রভৃতি নাটক রচনা ও নির্দেশনা দেন।
২০০৬ সালে নাটক শ্রেণিতে বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ২০১৪ সালে শিশুতোষ চলচ্চিত্র ‘একাত্তরের ক্ষুদিরাম’ নির্মাণ করেন। ‘গরম ভাতের গল্প’ ও ‘৭১-এর রঙপেন্সিল’ নামে দুটি স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রও নির্মাণ করেন তিনি।
এদিকে অভিনেতা, নির্দেশক, ভাস্কর, চিত্রকর ও কবি সেলিম আহমেদ গত ১৭ ডিসেম্বর হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাঁকে দ্রুত হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হন। তাঁকে আইসিইউতে নেওয়া হয়। বুধবার তিনি মারা গেছেন হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েই।
আছরের নামাজের পর মিরপুর বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে সেলিম আহমেদকে দাফন করা হয়।
সেলিম আহমেদ ‘জয়িতা’, ‘লোটাকম্বল’সহ বেশ কিছু একক ও ধারাবাহিক নাটকে অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি বেশ কিছু মঞ্চ নাটকে অভিনয় করেছেন। নাটক নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি। তিনি বহু বিজ্ঞাপনেও কাজ করেছেন। এছাড়া ‘চিরঞ্জীব মুজিব’ নামে একটি সিনেমার শিল্পনির্দেশক ছিলেন তিনি।