কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
বাংলাদেশের গুণী চলচ্চিত্রকার জহির রায়হানের অন্তর্ধান দিবস ৩০ জানুয়ারি। এদিন তার অন্তর্ধান দিবস হলেও তিনি এদিন স্বাধীনতাবিরোধীদের হাতে নিহত হয়েছেন বলে জানা যায়। এদিনকে স্মরণে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি মুক্তিযোদ্ধা, চলচ্চিত্রকার ও কথাসাহিত্যিক জহির রায়হান স্মরণ ও জহির রায়হানের চিন্তা ও কর্মের বিশ্লেষণমূলক বিশেষ বক্তৃতার আয়োজন করেছে।
আগামী ৩০ জানুয়ারি শনিবার রাত সাড়ে ৮টায় অনলাইনে এ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজনে ‘জহির রায়হান: ক্যামেরা যখন রাইফেল’ শিরোনামে বক্তৃতা প্রদান করবেন বিশিষ্ট চলচ্চিত্র সমালোচক, লেখক ও চলচ্চিত্র সংসদ কর্মী মাহমুদুল হোসেন।
ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সাধারণ সম্পাদক চলচ্চিত্র নির্মাতা অদ্রি হৃদয়েশ এর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্য প্রদান করবেন ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির সভাপতি চলচ্চিত্র নির্মাতা ও লেখক বেলায়াত হোসেন মামুন।
অনলাইন এই আয়োজনটি ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটির ফেসবুক পেজ: https://www.facebook.com/Moviyana থেকে সরাসরি সম্প্রচার করা হবে।
চলচ্চিত্রকার হিসেবে জহির রায়হান চলচ্চিত্রে ১৯৬০ থেকে ১৯৭১ পর্যন্ত তাঁর নিজস্বতার স্বাক্ষর উৎকীর্ণ করার জন্য মাত্র ১১ বছর সময় পেয়েছিলেন। চলচ্চিত্র পরিচালনা কিংবা প্রযোজনা ছাড়াও তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে নন্দিত ছিলেন; অংশগ্রহণ করেছেন রাজনৈতিক ক্ষেত্রে সরাসরি প্রতিবাদী ভূমিকায়। ১৯৭১ সালে স্বাধীনতা যুদ্ধে তিনি ক্যামেরা হাতে চলচ্চিত্রকারদের নেতৃত্ব দিয়েছেন। ‘স্টপ জেনোসাইড’, ‘কাঁচের দেয়াল’, ‘জীবন থেকে নেয়া’- চলচ্চিত্রগুলো বাংলাদেশে চলচ্চিত্র নির্মাণকলার ক্ষেত্রে মাইলফলক হয়ে রয়েছে।
জহির রায়হান ১৯৬৯ সালের গণ অভ্যুত্থানে অংশ নেন। ১৯৭১ সালে মুক্তিযুদ্ধ শুরু হলে তিনি কলকাতায় চলে যান এবং সেখানে বাংলাদেশের স্বাধীনতার পক্ষে প্রচারাভিযান ও তথ্যচিত্র নির্মাণ শুরু করেন।
সাহিত্যের বিভিন্ন ক্ষেত্রেও ছিল জহির রায়হানের অবাধ বিচরণ । তাঁর প্রথম প্রথম গল্পগ্রন্থ সূর্যগ্রহণ, তৃষ্ণা। একুশে ফেব্রুয়ারি, কয়েকটি মৃত্যু, শেষ বিকেলের মেয়ে, হাজার বছর ধরে, আরেক ফাল্গুন, বরফ গলা নদী, আর কত দিন। জহির রায়হান তাঁর একটি কাজ শেষ করে যেতে পারেন নি। ১৯৭০ সালে তিনি ‘লেট দেয়ার বি লাইট’ নির্মাণ শুরু করেছিলেন।