এন রাশেদ চৌধুরী নির্মিত চলচ্চিত্র ‘চন্দ্রাবতী কথা’ অবশেষে সেন্সর সার্টিফিকেট হাতে পেয়েছে। রবিবার (২৮ ফেব্রুয়ারি) গণমাধ্যমকে এ খবর নিশ্চিত করেছেন নির্মাতা নিজেই।
মলুয়া, দস্যু কেনারামের পালা এবং রামায়ণ কাব্যগ্রন্থ প্রণেতা চন্দ্রাবতীকে বলা হয় বাংলাদেশের প্রথম নারী কবি। এ নারী কবির জীবনের নানা নাটকীয় মোড়, তাঁর জীবনের বিয়োগান্তক ঘটনা ও সংগ্রামের নানা দিক নিয়ে নির্মিত হয়েছে জীবন।
তৃতীয়বারের মতো স্ক্রিনিংয়ের পর সেন্সর বোর্ড থেকে ছবিটি অনুমোদন পেয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা এন রাশেদ চৌধুরী। ঈদুল ফিতরের সপ্তাহ দুয়েক পরে ছবিটি হলে মুক্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে বলে জানিয়েছেন তিনি।
চন্দ্রাবতীর জন্মস্থান কিশোরগঞ্জে রিয়েল লোকেশনেই ছবির পুরো শুটিং সম্পন্ন হয়েছে বলেও জানান নির্মাতা। ছবিতে গ্রামের সাধারণ মানুষেরাও অভিনয় করেছেন। বিশেষ করে পালাকার বা বয়াতি-এরকম চরিত্রগুলোতে সেখানকার গ্রামের মানুষই অভিনয় করেন।
সরকারি অনুদানপ্রাপ্ত ছবিটিতে আরও প্রযোজনা করেছেন ম্যানগ্রোভ পিকচারস ও বেঙ্গল ক্রিয়েসন্স। সম্পাদনা করেছেন পশ্চিমবঙ্গের প্রখ্যাত সম্পাদক শঙ্খ। শব্দ সংযোজনে ছিলেন পশ্চিমবঙ্গের শব্দগ্রাহক সুকান্ত মজুমদার। কালার কারেকশন ও পোস্ট প্রডাকশনে ছিলেন কলকাতার চেরীপিক্স এ।
এছাড়া ছবির সঙ্গীতায়োজন করেছেন কলকাতার খ্যাতনামা লোকসঙ্গীত শিল্পী সাত্যকি ব্যানার্জী। ‘চন্দ্রাবতী কথা’ সিনেমায় অনন্য এক বিচ্ছেদী ভাটিয়ালি গান গেয়েছেন স্থানীয় রামায়ণ-পালা শিল্পী শংকর।
ছবিটির কেন্দ্রীয় চরিত্রে অভিনয় করেছেন মডেল ও অভিনেত্রী দোয়েল ম্যাশ। ছবিটিতে আরও অভিনয় করেছেন বিশিষ্ট অভিনেতা জয়ন্ত চট্টোপাধ্যায়, গাজী রাকায়েত ও মিতা রহমান। এছাড়া আরও অভিনয় করেছেন নওশাবা আহমেদ, আরমান পারভেজ মুরাদ, ইমতিয়াজ বর্ষণ, জয়িতা মহলানবিশসহ অনেকে।