কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
ঐতিহাসিক ৭ মার্চের অনুপ্ররণায় নির্মিত সোহেল রানা বয়াতির ছবি ‘তর্জনী’ অর্থসংকটে আটকে আছে প্রায় দুই বছর। প্রযোজকের সঙ্গে মনের মিল না হওয়ায় এখন নিজেই সিনেমাটির কাজ এগুতে চান পরিচালক।
২০১৯ সালের ২৬ মার্চ (স্বাধীনতা দিবস) প্রযোজক-অভিনেতা শিমুল খান ও নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি একসঙ্গে ‘তর্জনী’ সিনেমাটি নির্মাণের ঘোষণা দেন। বঙ্গবন্ধুর তর্জনী দিয়ে একটি দৃষ্টিনন্দন পোস্টারও তৈরি করেন তারা।
তবে দুই বছরের মাথায় হতাশার সুর চলচ্চিত্রটির পরিচালকের মুখে। তবে তিনি এবার নিজের অর্থে চলচ্চিত্রটি বানানোর কথাও বলেন। তিনি বলেন, এই প্রাণের চলচ্চিত্রটি একদিন নিজের টাকায় বানাবো। হয়তো সময় লাগবে তবে মৃত্যুর আগের দিন পর্যন্ত চেষ্টা করে যাবো। শুধু অর্থের জন্যই কাজটা আটকে আছে বলে জানান তিনি।
ছবিটির প্রযোজক অভিনেতা শিমুল জানান, নির্মাতা পেশাদার নন বলেই লগ্নি থেকে তিনি ফিরে দাঁড়িয়েছেন। তবে প্রযোজক সম্পর্কে পরিচালক বলেন, তিনি যাদের ভরসায় মাঠে নেমেছিলেন তারা তাকে একা ফেলে পালিয়েছেন বলেই তিনি থেমে গেছেন।
এর আগে সিনেমাটি নির্মাণ ঘোষণার পরই নির্মাতা ও প্রযোজক অভিনেতা আজিজুল হাকিম, আশিষ কুমার লৌহসহ বেশ ক’জন গুরুত্বপূর্ণ শিল্পীর সঙ্গে ছবিটি সম্পর্কে প্রায় চূড়ান্ত আলাপ করেছেন। ২০২০ সালের ৭ মার্চ ছবিটি মুক্তি দেওয়ার কথা বলা হলেও ২০২১ সালের ৭ মার্চ পর্যন্ত এগুয়নি এক পাও।
এ সংক্রান্ত আরও খবর : ৭ মার্চের ভাষণ নিয়ে সোহেল রানার সিনেমা
তবে সিনেমাটার সকল প্রিপারেশন চূড়ান্ত ছিল। যারা বিনিয়োগ করার আশ্বাস দিয়েছিলেন তারা বাণিজ্যের কথা চিন্তা করে সরে গেছেন।-এমন অভিযোগ নির্মাতা বয়াতির।
এদিকে এই ছবিটি নিজের টাকাতে বানানোর প্রত্যয় ব্যক্ত করেছেন নির্মাতা সোহেল রানা বয়াতি।
বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ই মার্চের ভাষণ থেকে অনুপ্রাণিত সিনেমাটিতে সরাসরি ভাষণ নেই। ১৯৭১, ১৯৭৫ ও ২০১৭ তিন সময়ের তিনটি গল্প পাশাপাশি দেখানো হবে ছবিটিতে। ১০ বছরের একটি শিশু এই সিনেমার মূল প্রোটাগনিস্ট বলে জানান নির্মাতা।
এর আগে ‘টিয়ার গপ্পো’ ও ‘সেলাই জীবন’ নামের দু’টি ছবি নির্মাণ করে প্রশংসিত হয়েছিলেন তিনি।
আরও পড়ুন : আমেরিকায় ডালাস চলচ্চিত্র উৎসবে বাংলা ছবি ‘টিয়ার গপ্পো’