জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী আজ ১৭ মার্চ। এদিনে শুরু হলো ১০দিনব্যাপী জমকালো আয়োজন। করোনাকালে সীমিত আকারে উদযাপিত হবে অনুষ্ঠানটি। থাকছে দেশে বিদেশী শিল্পীদের পরিবেশনায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, সঙ্গীত, অডিও-ভিজ্যুয়াল পরিবেশনা, দেশে বিদেশের অতিথিদের বক্তৃতাসহ আলো ঝলমলে আয়োজন।
জাতীয় প্যারেড গ্রাউন্ডে আয়োজিত অনুষ্ঠানের প্রতিপাদ্য ‘মুজিব চিরন্তন’। মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির আয়োজনে এবারের জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী ও স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী একসঙ্গে আয়োজিত হচ্ছে।
মুজিব জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন জাতীয় বাস্তবায়ন কমিটির প্রধান সমন্বয়ক ড. কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী জানিয়েছেন, আগামী ১৭ মার্চ, ২২ মার্চ ও ২৬ মার্চ আয়োজিত অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। এ দিনগুলোতে বিকেল সাড়ে চারটায় শুরু হবে অনুষ্ঠান। শেষ হবে রাত ৮টায়। ১৭ মার্চ, ১৯ মার্চ, ২২ মার্চ, ২৪ মার্চ ও ২৬ মার্চ উপস্থিত থাকবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রথমদিন বাদে এদিনগুলোতে বিকেল সোয়া ৫টায় অনুষ্ঠান শেষ হবে।
এদিকে প্রতিদিন বিদেশি দেশের সরকার প্রধানসহ বিভিন্ন অতিথি অনলাইনে উপস্থিত থাকবেন।
প্রতিদিন আলাদা থিমে অনুষ্ঠান হবে। প্রথম দিন ১৭ মার্চের থিম হচ্ছে ‘ভেঙেছে দুয়ার সেজেছো জ্যোতির্ময়’, ১৮ মার্চের থিম ‘মহাকালের তর্জনী’, ১৯ মার্চের থিম ‘যতকাল রবে পদ্মা যমুনা’, ২০ মার্চের থিম ‘তারুণ্যের আলোক শিখা’, ২১ মার্চে ‘ধ্বংসস্তূপে জীবনের গান’, ২২ মার্চে ‘বাংলার মাটি আমার মাটি’, ২৩ মার্চে, ‘নারী মুক্তি, সাম্য ও স্বাধীনতা’, ২৪ মার্চে ‘শান্তি মুক্তি ও মানবতার অগ্রদূত’, ২৫ মার্চে ‘গণহত্যার কালরাত্রি ও আলোকের অভিযাত্রা’। ২৬ মার্চ শেষ দিনের থিম থাকছে ‘স্বাধীনতার ৫০ বছর ও অগ্রগতির সুবর্ণরেখা’।