জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস আজ। এদিন এফডিসি, ফিল্ম আর্কাইভ, সেন্সর বোর্ড, চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউট এবং শিল্পকলা একাডেমি নানা আয়োজনে থাকে প্রাণবন্ত। তবে করোনার থাবায় গত বছর থমকে যায় এদিনের অনুষ্ঠান। প্রাণহীন দিবস পালন করা হয়। এবারও আরেকটি প্রাণহীন জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস পালিত হবে আজ।
বিএফডিসি’র ব্যবস্থাপনা পরিচালক (অতিরিক্ত দায়িত্ব) নুজহাত ইয়াসমিন জানিয়েছেন, যেহেতু জাতীয় একটি দিবস তাই সেটাকে সম্মান জানিয়ে সীমিত আকারে দিনটি পালন করা হবে। তবে এখানে বাইরের কারও প্রবেশ নিষেধ। দুপুরের পর চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর ব্যবস্থা রাখা হয়েছে। সেখানে শুধু বিএফডিসির কর্মকর্তা-কর্মচারী ও ভেতরের মানুষেরা উপস্থিত থাকবেন।
এদিকে চলচ্চিত্র পরিচাললক সমিতি, শিল্পী সমিতি, প্রযোজক সমিতিসহ চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ঠ সংগঠনগুলো ও ব্যাক্তির কোন আয়োজন রাখা হয়নি এদিনে। করোনাকালীন সবার সুরক্ষা নিশ্চিতে এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিক স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস উপলক্ষে ম্যুভিয়ানা ফিল্ম সোসাইটি একটি অনলাইন আয়োজন করছে। শনিবার (৩ এপ্রিল) রাত সাড়ে আটটায় ‘স্বাধীনতার পঞ্চাশ বছরে বাংলাদেশের চলচ্চিত্র সংস্কৃতি’ শীর্ষক বিশেষ বক্তৃতা অনুষ্ঠিত হবে। এ অনুষ্ঠান দেখা যাবে https://www.facebook.com/Moviyana এ্ই পেজে। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা অদ্রি হৃদয়েশ। এতে বক্তৃতা করবেন চলচ্চিত্র নির্মাতা ও সংগঠনের সভাপতি বেলায়াত হোসেন মামুন।
উল্লখ্য, ১৯৫৭ সালের ৩ এপ্রিল তৎকালীন পাকিস্তানের শিল্প, বাণিজ্য, ত্রাণ ও দুর্যোগ কল্যাণমন্ত্রী থাকাকালীন জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান পূর্ব পাকিস্তান প্রাদেশিক পরিষদে চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশন (এফডিসি) গঠনের প্রস্তাব উত্থাপন করেন। সেদিনটিকে স্মরণীয় করে রাখতে ২০১২ সালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ দিনটিকে সরকারিভাবে জাতীয় চলচ্চিত্র দিবস হিসেবে ঘোষণা করেন।