করোনা আক্রান্ত চিত্রনায়ক আলমগীর হাসপাতালে ভর্তি প্রায় ১৩দিন হলো। চিকিৎসকদের তত্ত্বাবধানে আছেন তিনি। এর মধ্যে দ্বিতীয়বারের মতো পরীক্ষা করান করোনার। কিন্তু আবারও করোনা পজেটিভ হয়েছেন তিনি।
আলমগীরের মেয়ে আঁখি আলমগীর জানিয়েছেন, তাঁর বাবার শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে। কিন্তু আবার তার করোনা পজেটিভ এসেছে। তবে তিনি আশা করছেন জলদি সবকিছু ঠিক হয়ে যাবে। ভয়ের কোনো কারণ নেই। আঁখি তার বাবার জন্য সবার কাছে দোয়া চেয়েছেন।
গত ১৮ এপ্রিল করোনা পজেটিভ হয়েছিলেন আলমগীর। এর আগে বেশকিছুদিন অসুস্থ ছিলেন তিনি। করোনার লক্ষন কিছু কিছু প্রকাশ পাওয়ায় তিনি করোনা টেস্ট করান। এরপর করোনা আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হন হাসপাতালে। এরপর থেকে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন তিনি। ১৩দিন পর আবার টেস্ট করিয়ে করোনা পজেটিভ হয়েছেন তিনি।
আলমগীর কুমকুমের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র আমার জন্মভূমি-তে অভিনয়ের মাধ্যমে আলমগীরের অভিষেক। ১৯৭৩ সালে মুক্তি পায় ছবিটি। এরপর তিনি অভিনয় করেন দস্যুরাণী, লাভ ইন শিমলা, জিঞ্জীর, গুন্ডা, রজনীগন্ধা, ভাত দে চলচ্চিত্রসহ অসংখ্য ছবিতে অভিনয় করেন। তিনি প্রায় শতাধিক ছবিতে অভিনয় করেছেন। আলমগীর অভিনীত ও পরিচালিত সর্বশেষ ছবি ‘একটি সিনেমার গল্প’। প্রায় চার দশকের ক্যারিয়ারে তিনি ২৩০টি সিনেমায় অভিনয় করেছেন। এছাড়া তিনি বেশকিছু সিনেমা প্রযোজনা ও পরিচালনা করেছেন।
চিত্রনায়ক আলমগীর নয়বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৮৫ সালে মা ও ছেলে, ১৯৮৭ সালে অপেক্ষা, ১৯৮৯ সালে ক্ষতিপূরণ, ১৯৯০ সালে মরণের পরে, ১৯৯১ সালে পিতা মাতা সন্তান, ১৯৯২ সালে অন্ধ বিশ্বাস ও ১৯৯৪ সালে দেশপ্রেমিক সিনেমায় শ্রেষ্ঠ অভিনেতা হিসেবে এবং শ্রেষ্ঠ পার্শ্বচরিত্র অভিনেতা হিসেবে ২০১০ সালে জীবন মরণের সাথী ও ২০১১ সালে কে আপন কে পর ছবিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন তিনি। এছাড়া তিনি জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।