কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
বাংলাদেশের মহান মুক্তিযুদ্ধের পক্ষে গিটার হাতে অংশগ্রহণ করেছিলেন ‘কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’-এ। ‘ব্লোয়িং ইন দ্য উইন্ড’সহ ৬টি প্রতিবাদী গান গেয়ে বাংলার মুক্তিকামী মানুষের জন্য অর্থ সংগ্রহ করেছিলেন। যার গানের মুল সুরই ছিলো প্রতিবাদ। মেহনতি ও মুক্তিকামী মানুষের জন্য সারাজীবন গিটারে ও কণ্ঠে তুলেছেন সুর। নোবেলজয়ী কিংবদন্তি এই শিল্পীর ৮০তম জন্মদিন আজ। শুভ জন্মদিন বব ডিলান।
১৯৪১ সালের ২৪ মে মিনেসোটার গ্রাম ডুলুথে জন্মগ্রহণ করেছেন রবার্ট অ্যালেন জিমারম্যান। পরে তিনি সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে আত্নপ্রকাশ করেন বব ডিলান নামে। স্কুলে থাকতেই গড়ে তুলেছিলেন ব্যান্ড দল। মিনেসোটা ইউনিভার্সিটির আর্ট ও মিউজিক বিভাগে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। তবে পাঠ্যবইয়ের বদলে গিটার ও হারমোনিকা নিয়ে গান করতেই বেশি ভালবাসতেন বব ডিলান।
১৯৫৯ সালে সঙ্গীতশিল্পী হিসেবে বব ডিলানের আত্নপ্রকাশ। প্রতিবাদী গানের শিল্পী উডি গুথরিকে গুরু মানতেন। ১৯৬৬ সালে নিউ ইয়র্কের উডস্টকে নিজের বাড়ির কাছে এক মটর সাইকেল দুর্ঘটনার পর বব ডিলান জনসম্মুখে গান গাওয়া কমিয়ে দিয়েছিলেন।
একাত্তরে বাংলাদেশের স্বাধীনতা যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধাদের জন্য অর্থ সংগ্রহের জন্য নিউ ইয়র্কে বিটলস শিল্পী জর্জ হ্যারিসন, ভারতের বিখ্যাত সেতার শিল্পী পণ্ডিত রবিশঙ্করের অনুরোধে ‘দ্য কনসার্ট ফর বাংলাদেশ’ এর আয়োজন করেছিলেন।
সত্তর ও আশির দশকে প্রতিবাদী গানের সুর তুলে তরুণ প্রজন্মের আইডলে পরিণত হয়েছিলেন বব ডিলান। বর্তমান প্রজন্মের কাছেও সমান জনপ্রিয় ডিলান। রাজনীতি, সমাজ, দর্শন ও সাহিত্যিক ধারার গান করেন বব ডিলান। সঙ্গীতশিল্পী হয়েও ২০১৬ সালে সাহিত্যে নোবেল পুরস্কার পান তিনি।
‘ব্লোইন ইন দ্য উয়িন্ড’, ‘মাস্টার্স অব ওয়ার’, ‘এ হার্ট রেইন’স এ-গনা ফল’, ‘দ্য টাইমস দে আর চেঞ্জিং’, ‘লাইক এ রোলিং স্টোন’, ‘জাস্ট লাইক অ্যা ওমেন’, ‘লেই লেডি লেই’সহ অসংখ্য গানের স্রষ্টা বব ডিলান। ‘প্রতিবাদী গায়ক’ হলেও তিনি কান্ট্রি সঙ, ব্লুজ, রক অ্যান্ড রোল, ইংলিশ, স্কটিশ, আইরিশ লোকগীতি, হার্ড রক করেছেন।
বব ডিলান গ্রামি অ্যাওয়ার্ড, গোল্ডেন গ্লোব, অ্যাকাডেমি পুরস্কারসহ অসংখ্য পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।