মেয়ের গানে কিংবদন্তি সঙ্গীতজ্ঞ আলাউদ্দীন আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী
প্রকাশের সময় :
কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
আজ বাংলা গানের কিংবদন্তি সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক আলাউদ্দীন আলীর প্রথম মৃত্যুবার্ষিকী। গেলো বছরের এই দিনে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেন তিনি। প্রথম মৃত্যুবার্ষিকীতে তাঁর স্মরণে গান করেছেন তার মেয়ে আলিফ আলাউদ্দীন। এই গান নিয়ে তৈরি হয়েছে ভিডিওচিত্র।
বাবা আলাউদ্দীন আলী ও মা সালমা সুলতানা ৩৮ বছর আগের এই গানের কথা ও সুর সৃষ্টি করে গেয়েছিলেন। তাদেরই মেয়ে নতুন করে এই গান কণ্ঠে তুলে এনেছেন। আলিফকে মডেল করে গানটির সঙ্গীতায়োজন করেছেন তার স্বামী কাজী ফয়সাল আহমেদ।
‘তুমি চলে গেছো আমারে কাঁদিয়ে’-শিরোনামের গানটি অনলাইনে অবমুক্ত করা হয়েছে। ১৯৮৩ সালে সালমা সুলতানার কণ্ঠে গানটি বিটিভি’র জন্য তৈরি করেছিলেন আলাউদ্দীন আলী।
আলিফ আলাউদ্দীন তার ফেসবুকে পেজে গানটির ভিডিও শেয়ার করে বলেন, ৮৩ সালে আমার মা সালমা সুলতানা, বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্যে “তুমি চলে গেছো” নামে গানটি পরিবেশন করেন। এ গানটি লিখেছেন এবং সুর করেছেন আমার বাবা আলাউদ্দীন আলী। মা প্রায়ই হারমোনিয়ামে এই গানটি গাইতেন। ছোট বেলা থেকেই গানটি মনের ভেতর গেঁথে যায়। একটু বড় হবার পর আম্মুর কাছে বসে এই গান শিখেছিলাম। আম্মু যেভাবে গাইতেন ঠিক সেভাবেই চেষ্টা করেছি। তবে তাও তাঁর মত কখনই হয়না। ভালবাসার জায়গা থেকে “a daughter’s tribute” করা। গানটির কোন রেকর্ডেড ভার্সন আমার কাছে নেই, মুখে গেয়ে গেয়ে গানটি Kazi Faisal Ahmed কে তুলে দেই। সে কর্ড নিয়ে বসে গানের সংগীতায়জনে ব্যস্ত হয়ে যায়। মিউজিক ভিডিও নিজে বানিয়ে ফেলে। তাঁর কাছে আমি কৃতজ্ঞ।
১৯৫২ সালের ২৪ ডিসেম্বর মুন্সীগঞ্জের টঙ্গিবাড়ী উপজেলার বাঁশবাড়ি গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন আলাউদ্দীন আলী।
যে ছিল দৃষ্টির সীমানায়, ভালোবাসা যত বড় জীবন তত বড় নয়, দুঃখ ভালোবেসে প্রেমের খেলা খেলতে হয়, একবার যদি কেউ ভালোবাসতো, এই দুনিয়া এখন তো আর সেই দুনিয়া নাই, হয় যদি বদনাম হোক আরও, এমনও তো প্রেম হয়, চোখের জলে কথা কয়, প্রথম বাংলাদেশ, আমার শেষ বাংলাদেশসহ অসংখ্য জনপ্রিয় গান রয়েছে।