কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
বরেণ্য অভিনেতা আবুল হায়াতের জন্মদিন আজ। ১৯৪৪ সালের ৭ সেপ্টেম্বর পশ্চিমবঙ্গের মুর্শিদাবাদে জন্মগ্রহণ করেন বাংলাদেশের অন্যতম এই সেরা অভিনয়শিল্পী। জন্মদিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারে পক্ষ থেকে তাঁর প্রতি রইলো অনেক অনেক শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
আবুল হায়াত একাধারে একজন শক্তিমান অভিনেতা, নাট্যকার, নির্দেশক ও লেখক। মঞ্চ, টেলিভিশন ও চলচ্চিত্র; সর্বত্রই ছিলো তার অবাধ বিচরণ। নাটক-সিনেমার পাশাপাশি বিজ্ঞাপনের মডেল হিসেবেও তিনি বেশ জনপ্রিয়। উপস্থাপক হিসেবেও হয়েছেন প্রশংসিত। মঞ্চনাটকেও তিনি অনন্য। সবখানেই রেখেছেন নিজ মেধা ও দক্ষতার সাক্ষর।
টেলিভিশন নাটকে তাঁর অভিষেক হয় ১৯৬৯ সালে ‘ইডিপাস’ নাটকে অভিনয়ের মধ্যদিয়ে। ইতোমধ্যে পাঁচশতাধিক নাটকে অভিনয় করেছে। চরিত্র অভিনেতা হয়েও জনপ্রিয়তা শীর্ষে যাওয়া সম্ভব, সেটা প্রমাণ করলেন দক্ষ এই অভিনেতা। তাঁর উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে বহুব্রীহি, আজ রবিবার, দ্বিতীয় জন্ম, শনিবার রাত ১০টা ৪০ মিনিট, নদীর নাম নয়নতারা, আলো আমার আলো, হাউজফুল, এইসব দিনরাত্রি, অন্য ভুবনের ছেলেটা, শেখর, অয়োময়, নক্ষত্রের রাত, শুকনো ফুল রঙ্গিন ফুল, খেলা, এফ এন এফ অন্যতম।
ঋত্বিক ঘটকের ‘তিতাস একটি নদীর নাম’, হুমায়ূন আহমেদের ‘আগুনের পরশমণি’ কিংবা তৌকির আহমেদের ‘দারুচিনি দ্বীপ’ সিনেমায় অসাধারণ অভিনয় নৈপুণ্যের মাধ্যমে জয় করেছেন দর্শক হৃদয়। এছাড়াও সুভাষ দত্তের ‘অরুণোদয়ের অগ্নিসাক্ষী’, মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’, খালিদ মাহমুদ মিঠুর ‘গহীনে শব্দ’, এম এ খালেকের ‘স্বপ্নের ঠিকানা’, সোহানুর রহমান সোহানের ‘কেয়ামত থেকে কেয়ামত’, তৌকির আহমেদের ‘অজ্ঞাতনামা’, ‘ফাগুন হাওয়ায়’ ও ‘জয়যাত্রা’সহ অসংখ্য চলচ্চিত্রে অভিনয় করেছেন এই কালজয়ী অভিনেতা।
অভিনয়ের স্বীকৃতি হিসেবে পেয়েছেন জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার। নাট্যকার হিসেবেও ‘উন্মেষ’ নাটকের জন্য মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার পান।
আবুল হায়াতের প্রথম উপন্যাস ‘আপ্লুত মরু’ প্রকাশিত হয় ১৯৯১ সালে। এরপর নির্ঝর সন্নিকট, এসো নীপো বনে, অচেনা তারা, জীবন খাতার ফুট নোট, জিম্মি, ঢাকামি, জীবন খাতার ফুটনোট, মিতুর গল্পসহ বেশ কিছু গ্রন্থ প্রকাশিত হয়।
পারিবারিক জীবনে আবুল হায়াত ১৯৭০ সালে মাহফুজা খাতুন শিরিনকে বিয়ে করেন। তাদের দুই কন্যা বিপাশা হায়াত ও নাতাশা হায়াত। তারা দু’জনেই শোবিজের মানুষ।