কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
উপমহাদেশের বিখ্যাত ব্যান্ডশিল্পী ফারুক মাহফুজ আনাম। বাংলাদেশের এই রক স্টার, যিনি সবার কাছে জেমস নামেই পরিচিত। অধিকাংশ ভক্তরা তাকে ডাকেন ‘গুরু’ বলে। তিনি একাধারে একজন গায়ক, গীতিকার ও গিটারিস্ট। আজ এই জনপ্রিয় শিল্পীর জন্মদিন।
কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারে পক্ষ থেকে শুভ জন্মদিন নগর বাউল জেমস।
১৯৬৪ সালের ২ অক্টোবর নওগাঁ জেলায় জন্মগ্রহণ করেন জীবন্ত কিংবদন্তী এই সঙ্গীতশিল্পী। তিনি বেড়ে ওঠেন চট্টগ্রামে। সেখানে শুরু হয়েছিলো তার সঙ্গীত জীবন।
১৯৮০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় ব্যান্ড দল ‘ফিলিংস’। সেই ব্যান্ডের প্রধান গিটারিস্ট ও ভোকালিস্ট ছিলেন জেমস। তার প্রথম অ্যালবাম ‘স্টেশন রোড’ প্রকাশিত হয় ১৯৮৭ সালে। ১৯৮৮ সালে প্রকাশিত হয় ‘অনন্যা’ নামের আরেকটি অ্যালবাম। এটি ব্যাপক জনপ্রিয়তা পায়।
এরপর ‘ফিলিংস’ থেকে ১৯৯০ সালে ‘জেল থেকে বলছি’, ১৯৯৬ সালে ‘নগর বাউল’, ১৯৯৮ সালে ‘লেইস ফিতা লেইস’ এবং ১৯৯৯ সালে ‘কালেকশন অফ ফিলিংস’ শিরোনামের অ্যালবামগুলো বের হয়।
‘নগর বাউল’ ব্যান্ডের অ্যালবামগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘দুষ্টু ছেলের দল’ ও ‘বিজলি’। জেমসের একক অ্যালবামগুলো হলো- ‘অনন্যা’, ‘পালাবি কোথায়’, ‘দুঃখিনী দুঃখ করো না’, ‘ঠিক আছে বন্ধু’, ‘আমি তোমাদেরই লোক’, ‘জনতা এক্সপ্রেস’, ‘তুফান’ ও ‘কাল যমুনা’।
বেশ কিছু বাংলা চলচ্চিত্রের গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে- কষ্ট, আসবার কালে আসলাম একা, মাটির ঠিকানা, দেশা আসছে, এতো কষ্ট কষ্ট লাগে, বিধাতা, তোর প্রেমেতে অন্ধ হলাম, প্রেম ও ঘৃণা অন্যতম।
সিনেমার গানের জন্য তিনি একবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, দুইবার মেরিল-প্রথম আলো পুরস্কার ও সিটিসেল-চ্যানেল আই মিউজিক অ্যাওয়ার্ডস পেয়েছেন।
আরও পড়ুন : জেমসের ‘দিদিমণি’দের নিয়ে রিজুর নতুন ছবি
বলিউডের সিনেমায়ও গান গেয়েছেন এই কিংবদন্তী শিল্পী। যেগুলো পেয়েছে ব্যাপক জনপ্রিয়তা। সেই গানগুলো হচ্ছে- ভিগি ভিগি, চল চলে, আলবিদা, রিশতে ও বেবাসি।
প্রতি বছরেই জেমসের জন্মদিনকে কেন্দ্র করে ভক্ত অনুরাগীরা বিভিন্ন স্বেচ্ছাসেবী কাজসহ ছিন্নমূল ও হতদরিদ্র মানুষকে খাবার বিতরণ করেন। তাঁর দীর্ঘায়ু ও সুস্বাস্থ কামনায় মসজিদ/মাদ্রাসা সহ বিভিন্ন মিলনমেলায় দোয়ার আয়োজন করেন তারা। এবারও তার ব্যতিক্রম নয়।