কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
সত্তর ও আশির দশকের হিট নায়ক ছিলেন জাফর ইকবাল। ওই সময়কার সবচেয়ে স্টাইলিস্ট নায়ক ছিলেন তিনি। চিরসবুজ চিত্রনায়ক তিনি। একই সঙ্গে তিনি জনপ্রিয় গায়ক। ১৯৯২ সালের ৮ জানুয়ারি মাত্র ৪২ বছরে তিনি পাড়ি জমিয়েছেন পরপারে।
আজ এই নায়কের প্রয়াণ দিবস। এ দিনে কালচারাল ইয়ার্ড তাঁকে শ্রদ্ধাভরে স্মরণ করছে।
‘সুখে থেকো ও আমার নন্দিনী’ কিংবা ‘হয় যদি বদনাম, হউক আরো; আমি তো এখন আর নই কারো’ এই জনপ্রিয় গানগুলো জাফর ইকবালের কণ্ঠে ব্যপক জনপ্রিয় হয়। এতো বছর পরেও এই গানগুলোর আবেদন রয়েছে। অসংখ্য গান লিখেছেন ও গেয়েছেন তিনি। পাশাপাশি অভিনয় করেছেন প্রায় দেড় শতাধিক চলচ্চিত্রে। তিনি হয়ে উঠেছিলেন রূপালি পর্দার ‘রাজপুত্তুর’।
বহুমুখী প্রতিভার অধিকারী জাফর ইকবাল একাধারে ছিলেন কণ্ঠশিল্পী, গিটারবাদক, মুক্তিযোদ্ধা ও চিত্রনায়ক।
১৯৫০ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ঢাকার পল্টনে এক সঙ্গীতপ্রিয় পরিবারে জন্মগ্রহণ করেছেন জাফর ইকবাল। তাঁর ভাই আনোয়ার পারভেজ ছিলেন প্রখ্যাত সুরকার। বোন শাহনাজ রহমতুল্লাহ ছিলেন কিংবদন্তি কণ্ঠশিল্পী। ছোটবেলা থেকেই সঙ্গীতচর্চা করতেন তিনি।
১৯৬৬ সালে বন্ধুদের নিয়ে ‘রোলিং স্টোন’ নামের একটি ব্যান্ড দল গঠন করেছিলেন। প্রথম প্লেব্যাক করে ‘পিচঢালা পথ’ সিনেমায়।
১৯৭০ সালে ‘আপন পর’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিনয় জীবন শুরু করেন জাফর ইকবাল। তাঁর অধিকাংশ সিনেমাই ছিলো ব্যবসাসফল। ‘সূর্যসংগ্রাম’ ও এর সিকুয়্যাল ‘সূর্যস্বাধীন’ চলচ্চিত্রে ববিতার বিপরীতে অভিনয় করেন।
তার অভিনীতি জনপ্রিয় ছবির মধ্যে ‘অবুঝ হৃদয়’, ‘চোরের বউ’, ‘ভাই বন্ধু’, ‘অবদান’, ‘একই অঙ্গে এত রূপ’, ‘সাধারণ মেয়ে’, ‘ফকির মজনুশাহ’, ‘দিনের পর দিন’, ‘বেদ্বীন’, ‘অংশীদার’, ‘মেঘবিজলী বাদল’, ‘সাত রাজার ধন’, ‘আশীর্বাদ’, ‘নয়নের আলো’, ‘অপমান’, ‘এক মুঠো ভাত’, ‘গৃহলক্ষ্মী’, ‘ওগো বিদেশিনী’, ‘নবাব’, ‘প্রেমিক’, ‘ফুলের মালা’, ‘সন্ধি’, ‘সিআইডি’, ‘মর্যাদা’, ‘প্রতিরোধ’ অন্যতম।
একাত্তরের স্বাধীনতার যুদ্ধে অংশ নিয়েছিলেন জাফর ইকবাল।