কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
প্রাণঘাতী করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে আইসিউতে ভর্তি হয়েছেন উপমহাদেশের সঙ্গীত কিংবদন্তি লতা মঙ্গেশকর। মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে ৯২ বছর বয়সী সুরেলা কণ্ঠের এই বর্ষীয়ান সঙ্গীতশিল্পীকে।
ভারতীয় সংবাদমাধ্যমগুলো লতা মঙ্গেশকরের পরিবারের বরাত দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
জানা গেছে, লতা মঙ্গেশকরের শারিরীক অবস্থা স্থিতিশীল রয়েছে। তবে বয়সের কারণে ঝুঁকি না নিয়ে তাঁকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে বলে জানিয়েছে পরিবার।
লতা মঙ্গেশকরের ভাগ্নি রচনা জানিয়েছেন, ভালো আছেন লতা মঙ্গেশকর। বয়সের কারণে তাকে আইসিইউতে রাখা হয়েছে।
সবাইকে গোপনীয়তা রক্ষা করে লতা মঙ্গেশকরের জন্য প্রার্থনা করার অনুরোধ জানিয়েছেন তাঁর পরিবার।
এর আগে ২০১৯ সালের নভেম্বরে শ্বাসপ্রশ্বাসের সমস্যা ভুগেছিলেন তিনি।
কিংবদন্তী সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর ১৯২৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি মধ্যপ্রদেশে জন্মগ্রহণ করেন। মারাঠি ছবি ‘কিতি হাসাল’-এর (১৯৪২) জন্য প্রথম গান করেন লতা। তার প্রথম তুমুল জনপ্রিয় গান ‘মহল’ (১৯৪৯) ছবির ‘আয়েগা আনেওয়ালা’। কিংবদন্তি অভিনেত্রী মধুবালা এতে অভিনয় করেন। পঞ্চাশের দশক থেকে হিন্দি চলচ্চিত্রে অপরিহার্য হয়ে ওঠেন লতা মঙ্গেশকর।
লতা মঙ্গেশকর ১৯৭৩ সালে সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানের শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে নাম লেখান। নব্বই দশকে এ আর রাহমান ও প্রয়াত গজল সম্রাট জগজিৎ সিংয়ের সঙ্গে কাজ করেন লতা মঙ্গেশকর। প্রয়াত যশ চোপড়ার প্রায় সব ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকর অর্জন করেছেন পদ্মভূষণ (১৯৬৯), দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯), ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (১৯৯৩), পদ্মবিভূষণ (১৯৯৯), এনটিআর জাতীয় পুরস্কার (১৯৯৯), ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ (২০০১)। এদিকে ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি ‘ডটার অব দ্য ন্যাশন’ উপাধি অর্জন করছেন।
১৯৯০ সালে তিনি নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেন। তার প্রযোজনায় গুলজার পরিচালিত সিনেমা ‘লেকিন’ ১৯৯০ সালে মুক্তি পায়। এতে ‘ইয়ারা সিলি সিলি’ গানের জন্য তৃতীয়বারের মতো জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। এটি সুর করেন তার ছোট ভাই হৃদয়নাথ মঙ্গেশকর।