চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন নাটকের পরিচিত মুখ অভিনেত্রী ও নায়িকা রাইমা ইসলাম শিমু। সোমবার (১৭ জানুয়ারি) দুপুরে কেরানীগঞ্জের হজরতপুর ব্রিজের কাছে আলিয়াপুর এলাকায় রাস্তার পাশে বস্তার ভেতর পাওয়া যায় শিমুর দ্বিখন্ডিত লাশ। এরপর থেকে চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয় সিনেমাপাড়ায়। চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতি থেকে বাদ পড়ায় আন্দোলন মুখর ছিলেন এই অভিনেত্রী। অথচ এই শিল্পীকে সুপারস্টার চিত্রনায়ক মান্না চিত্রজগতে নিয়ে এসেছিলেন।
রাইমা ইসলাম শিমুর মৃত্যুর পর তার জীবনযাপন ও চলচ্চিত্রজীবন নিয়ে আগ্রহ তৈরি হয় মানুষের। সাম্প্রতিক আলোচনায় আসা এই অভিনেত্রী সম্পর্কে জানা যায়, ঢাকাই চলচ্চিত্রে জনপ্রিয় অভিনেতা সৈয়দ মোহাম্মদ আসলাম তালুকদার মান্নার হাত ধরে স্বপ্নের রূপালী পর্দায় অভিষেক ঘটেছিল তার।
বরগুনার আমতলী উপজেলার হলদিয়ার মেয়ে শিমু দুই যুগ আগে রূপালী পর্দার নায়িকা হওয়ার স্বপ্ন নিয়ে ঢাকায় এসেছিলেন। শিমু প্রথম কাজী হায়াতের ‘বর্তমান’ সিনেমায় অভিনয়ের সুযোগ পান। ১৯৯৮ সালে মুক্তি পাওয়া সেই সিনেমায় মান্নার ছোটবোনের চরিত্রে অভিনয় করেন কিশোরী শিমু। পরে কাজী হায়াতের আরেকটি সিনেমায় কাজ করেন তিনি।
কাজী হায়াৎ বিষয়টি জানিয়ে বলেন, শিমুর ভাই খোকনের সঙ্গে মান্নার পরিচয় ছিল। মান্নার অনুরোধে আমি শিমুকে সিনেমায় নিয়েছিলাম। পরে মেয়েটি ভালো অভিনয় করেছিল। প্রতিভা ছিল। ও খুব কম কথা বলত, চুপচাপ থাকত। ফলে আমি ওকে ‘বিষ্ণুপদ’ বলে ডাকতাম। পরে ওকে আরেকটি সিনেমায় নিয়েছিলাম।
দেলোয়ার জাহান ঝন্টু, চাষি নজরুল ইসলাম, শরিফ উদ্দিন খান দিপুসহ কয়েকজন পরিচালকের প্রায় দুই ডজন সিনেমায় পার্শ্বচরিত্রে অভিনয় করেছেন শিমু। মান্না ছাড়াও শাকিব খান, রিয়াজের মতো তারকা শিল্পীদের সঙ্গে তিনি কাজ করেন।
২০০৩ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জামাই শ্বশুর’ সিনেমায় চিত্রনায়িকা পূর্ণিমার বড় বোনের চরিত্রে অভিনয় করে দর্শক মহলে বেশ পরিচিতি পান শিমু। সেই সিনেমায় তার বিপরীতে অভিনয় করেন অমিত হাসান।
এছাড়া অসংখ্য টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন এই অভিনেত্রী।
রাইমা ইসলাম শিমু একটি বেসরকারি টিভির মার্কেটিং বিভাগেও কর্মরত ছিলেন। নাটক নির্মাণের জন্য একটি প্রোডাকশন হাউজও ছিলো শিমুর।