কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
‘নান্দনিক চলচ্চিত্র, মননশীল দর্শক, আলোকিত সমাজ’ এই প্রতিপাদ্যে শেষ হলো এবারের ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। ২৩ জানুয়ারি রবিবার সন্ধ্যায় রাজধানীর জাতীয় জাদুঘর মিলনায়তনে এই উৎসবের সমাপণী অনুষ্ঠিত হয়। এবারের উৎসবে বাংলাদেশের তিনটি ছবি পৃরস্কৃত হয়।
৯ দিনব্যাপী আয়োজিত উৎসবের শেষ দিন তথ্য ও সম্প্রচারমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ বিজয়ীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন।
এবারে দর্শক পছন্দে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার জিতে নিয়েছে এন রাশেদ চৌধুরী নির্মিত ‘চন্দ্রাবতী কথা’ ও নুরুল আলম আতিকের ‘লাল মোরগের ঝুঁটি’ সিনেমাটি। বাংলাদেশ প্যানোরোমা বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছে শবনম ফেরদৌসী নির্মিত ‘আজব কারখানা’ সিনেমাটি।
এছাড়াও এশিয়ান চলচ্চিত্র প্রতিযোগিতা বিভাগে বাংলাদেশ-ভারতের ‘মায়ার জঞ্জাল’ চিত্রনাট্যের জন্য পুরস্কার জিতে নিয়েছে। এ বিভাগে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ভারতের ‘কুজহানগাল’। চীনের ‘ক্যাফে বাই দ্য হাইওয়ে’ ছবিটি সিনেমাটোগ্রাফির জন্য পুরস্কার জিতেছে এ বিভাগে।
এদিকে একই বিভাগ থেকে সেরা অভিনেত্রী হয়েছেন ভারতের সুশান প্রভা (বোটক্স) এবং সেরা অভিনেতা ভারতের জয়াসুরিয়া (সানি)।
নারী নির্মাতা বিভাগে পুরস্কার জিতেছে সেরা প্রামাণ্যচিত্র: ফিনল্যান্ডের ‘দ্য আদার সাইড অব দ্য রিভার’, সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য: ফ্রান্সের ‘আ সামার প্লেস’ এবং ইরানের ‘সাহারবানু’ চলচ্চিত্র সেরা ফিচার ফিল্মে পুরস্কার জিতে নিয়েছে।
এছাড়াও শিশুতোষ চলচ্চিত্র বিভাগে সেরার পুরস্কার পেয়েছে রাশিয়ার ‘আফ্রিকা’ এবং দর্শক পছন্দে সেরা চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছে ‘সেমখোর’।
রেইনবো ফিল্ম সোসাইটির বোর্ড সদস্য মফিদুল হকের সভাপতিত্বে উৎসব পরিচালক আহমেদ মুজতবা জামাল সমাপণী অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী ও ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট খন্দকার মশিউজ্জামান রোমেল।
উৎসবে ৭০টি দেশের ২২৫টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হয়। এর মধ্যে পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ১২৯টি, স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন চলচ্চিত্র ৯৬টি। বাংলাদেশের চলচ্চিত্রের মধ্যে প্রদর্শিত হয় ৪০টি সিনেমা। যার মধ্যে ২২টি স্বল্পদৈর্ঘ্য ও স্বাধীন এবং ১৮টি পূর্ণদৈর্ঘ্য।
বাংলাদেশ জাতীয় জাদুঘর, আলিয়ঁস ফ্রঁসেজ মিলনায়তন ডি ঢাকা, স্টার সিনেপ্লেক্স, বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি, সুফিয়া কামাল জাতীয় পাবলিক লাইব্রেরি এবং প্রথমবারের মতো পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের একাডেমি মিলনায়তনে চলচ্চিত্রগুলো প্রদর্শিত হয়।