কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন শেষ হয়েছে গেলো ২৮ জানুয়ারি। তবে এতোদিন পেরিয়ে গেলেও নির্বাচনের উত্তাপ শেষ হচ্ছেনা যেনো। হুমকি-পাল্টা হুমকি আর সাধারণ সম্পাদক পদি নিয়ে বিতর্ক এখন তুঙ্গে। বিজয়ী সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান টাকা দিয়ে ভোট কিনেছেন হেরে যাওয়া প্রার্থী নিপুণের এ অভিযোগ শেষ পন্যন্ত গড়ায় সমাজকল্যান মন্ত্রণালয় গড়িয়ে এখন আবার আপিলের বিভাগের হাতে। আজ দুই সম্পাদককে নিয়ে বসছে আপিল বিভাগ। চূড়ান্ত সমাধানের দিকে চেয়ে আছে সবাই।
এদিকে এই বৈঠককে অবৈধ বলে দাবি করেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচিত সম্পাদক সম্পাদক জায়েদ খান। তিনি এ বৈঠকে থাকবেন না বলেও সাফ জানিয়ে দিয়েছেন।
এদিকে নানা অভিযোগ নিয়ে সংবাদ সম্মেলন করেছেন নিপুন। সেগুলোর জবাবও দিয়েছেন জায়েদ খান। এসব অভিযোগের বিপরীতে সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয় বরাবর দিকনির্দেশনা চেয়ে চিঠি দিয়েছিলেন আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান। সেই চিঠির পরিপ্রেক্ষিতে এ বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নিতে মন্ত্রণালয়ের সমাজসেবা অধিদপ্তর আপিল বোর্ডকে নির্দেশ দিয়েছে।
নির্দেশনা অনুযায়ী এ ঘটনার সুরাহা হচ্ছে আজ বিকাল ৪টায়। শিল্পী সমিতির অফিসে জরুরি বৈঠক ডেকেছে আপিল বোর্ড। সেখানে উপস্থিত থাকতে জায়েদ খান, নিপুণ, চুন্নু, দুই নির্বাচন কমিশনার জাহিদ হোসেন, বি এইচ নিশান, শিল্পী সমিতির নবনির্বাচিত সভাপতি ইলিয়াস কাঞ্চনকে চিঠি দিয়েছে আপিল বোর্ড। তবে এই আপিল বিভাগকেই অবৈধ বলে দাবি করেছেন জায়েদ খান।
তিনি জানান, নির্বাচন হয়েছে ২৮শে জানুয়ারি। ২৯ তারিখ বিকাল পাঁচটার পর থেকে আপিল বিভাগের আর কোনো ক্ষমতাই থাকে না। সেই তারিখের পর থেকেই তারা অবৈধ। এখন এ বোর্ড যাই করছে তা-ই অবৈধ। এই বৈঠকে আমার উপস্থিত থাকার প্রশ্নই ওঠে না।
বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির নির্বাচন সংক্রান্ত আরও খবর
→ নির্বাচন কমিশনার পীরজাদা নিপুনের কাছে দুটি চুমু চেয়েছিলেন
→ অনেক শিল্পী আমার জন্য রোজা রেখেছেন: জায়েদ খান
তিনি এরইমধ্যে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সোহানুর রহমান সোহান ও হোসেন সাহেব বরাবর। মন্ত্রণালয়ের দু’জনকেও লিগ্যাল নোটিশ দিয়েছেন তিনি।–এমনটাই জানান জায়েদ খান।
তিনি বলেন, তারা তো এই বৈঠক ডাকার এখতিয়ার রাখেন না। আমি আইনিভাবেই এগুচ্ছি। আমার সহকর্মী যিনি হেরেছেন সাধারণ সম্পাদক পদে তার দ্বারা প্রভাবিত হয়ে আপিল বিভাগ এটা করছে। তবে এসবই অবৈধ। আমরা দ্রুতই শিল্পী সমিতির দায়-দায়িত্ব বুঝে নেবো।
এ বিষয়ে আপিল বোর্ডের চেয়ারম্যান সোহানুর রহমান সোহান বলেন, বসতে না চাইলে আমরা আমাদের মতো সিদ্ধান্ত দিয়ে দেব। যদিও ফল তাঁর পক্ষেও যেতে পারে। তিনি যদি না আসেন, অভিযোগগুলোর যুক্তি–তর্কে অংশ না নেন, তাহলে তাঁর পক্ষে রায় যাওয়ার সম্ভাবনা কম।