কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর আর নেই । রোববার (৬ ফেব্রুয়ারি) সকাল ৮টা ১২ মিনিটে মুম্বাইয়ে ৯২ বছর বয়সে প্রয়াত হলেন তিনি। উপমহাদেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিরাজ করছে শোকের ছায়া।
মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা এন সান্থানামের বরাত দিয়ে তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করেছেন ভারতের সংবাদমাধ্যম।
কোভিড পরবর্তী জটিলতার কারণে মৃত্যু হলো লতা মঙ্গেশকরের, জানিয়েছে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। তার মরদেহ শিবাজি পার্কে নিয়ে যাওয়া হয়েছে। সেখানেই তাঁকে শেষ শ্রদ্ধা জানানো হচ্ছে।
করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হয়ে গত ১১ জানুয়ারি থেকে মুম্বাইয়ের ব্রিচ ক্যান্ডি হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন তিনি। সেখানে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে তাঁর চিকিৎসা চলছিল। গত শরিবার (৫ ফেব্রুয়ারি) অবস্থার অবনতি হলে তাঁকে আইসিইউতে স্থানান্তর করা হয়। ভেন্টিলেশনেও দেওয়া হয়েছিল তাঁকে।
উপমহাদেশের কিংবদন্তি সঙ্গীতশিল্পী লতা মঙ্গেশকর সর্বশেষ লাইফ সাপোর্টে ছিলেন। তখনই জানানো হয়েছিলো তাঁর অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাকে ভেন্টিলেটশনে রাখা হয়েছে।
হাসপাতালের বরাত দিয়ে এএনআই জানিয়েছে, লতা মঙ্গেশকরের অবস্থা এখন আশঙ্কাজনক। এজন্য তাকে ভেন্টিলেটশনে নেয়া হয়েছে। আপাতত আইসিইউতেই ডাক্তারদের সার্বক্ষণিক নজরদারিতে রয়েছেন তিনি।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি জানুয়ারি করোনায় আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন লতা মঙ্গেশকর। এরপরে অবস্থার অবনতি হলে তাকে আইসিইউতে নেওয়া হয়েছিলো। ভেন্টিলেশনেও নেওয়া হয় তাকে।
লতা মঙ্গেশকর ১৯৭৩ সালে সেরা গায়িকা হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পেয়েছেন। ১৯৭৪ সালে সবচেয়ে বেশি গানের শিল্পী হিসেবে গিনেস বুকে নাম লেখান। নব্বই দশকে এ আর রাহমান ও প্রয়াত গজল সম্রাট জগজিৎ সিংয়ের সঙ্গে কাজ করেন লতা মঙ্গেশকর। প্রয়াত যশ চোপড়ার প্রায় সব ছবির গানে কণ্ঠ দিয়েছেন তিনি।
লতা মঙ্গেশকর অর্জন করেছেন পদ্মভূষণ (১৯৬৯), দাদাসাহেব ফালকে অ্যাওয়ার্ড (১৯৮৯), ফিল্মফেয়ার আজীবন সম্মাননা পুরস্কার (১৯৯৩), পদ্মবিভূষণ (১৯৯৯), এনটিআর জাতীয় পুরস্কার (১৯৯৯), ভারতের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা ‘ভারতরত্ন’ (২০০১)। ২০১৯ সালের ২৮ সেপ্টেম্বর তিনি ‘ডটার অব দ্য ন্যাশন’ উপাধি অর্জন করেছেন।