কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
আগামী ২৩ মার্চ বুধবার দেশীয় চলচ্চিত্রের বৃহৎ আসর জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠান-২০২০ অনুষ্ঠিত হবে। এ আসরকে কেন্দ্র করে জমকালো অনুষ্ঠান আয়োজনের প্রস্তুতি চলছে। অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা উপস্থিত চলচ্চিত্র ও চলচ্চিত্র সংশ্লিষ্ট শিল্পী-কলাকুশলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেবেন।
এ অনুষ্ঠানকে কেন্দ্র করে শুরু হয়েছে ব্যপক প্রস্তুতি। চলছে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের রিয়ার্সেল। এই আয়োজনে চলচ্চিত্রের বর্ষিয়াণ অভিনেত্রী রোজিনা, অঞ্জনা, অরুণা বিশ্বাসরা অংশ নিচ্ছেন। দুই প্রজন্মের শিল্পীরা থাকছেন একসঙ্গে।
চিত্রনায়ক ইমন জানিয়েছেন, তিনি ও দীঘি ‘রঙিলা রঙিলা’ ও ‘সুজন সখী’ গানে নাচে পারফর্ম করবেন। প্রথমবারের মতো তারা এমনভাবে জুটি হয়ে আসছেন বলে জানান তিনি। বিটিভিতে তারা রিহার্সেল করছেন।
জানা যায়, ২২ মার্চ মঙ্গলবার চূড়ান্ত অনুশীলন হবে অনুষ্ঠানস্থল বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে। মূল আয়োজনে উপস্থাপনার দায়িত্বে থাকবেন চিত্রনায়ক ফেরদৌস ও চিত্রনায়িকা পূর্ণিমা।
ফেরদৌস বলেন, ‘উপস্থাপনার কাজটি যথেষ্ট উপভোগ করি আমি। তাই ভালো কোনও অনুষ্ঠানের উপস্থাপনার প্রস্তাব আসলে লুফে নিই। জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার প্রদান অনুষ্ঠান যথেষ্ট মর্যাদাপূর্ণ। এ ধরনের আয়োজনে কাজ করে মানসিক শান্তিও পাওয়া যায়।’
এবারের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে আজীবন সম্মাননা পাচ্ছেন খ্যাতিমান দুই বর্ষীয়ান তারকা আনোয়ারা বেগম ও রাইসুল ইসলাম আসাদ। গুণী নির্মাতা ও অভিনেতা গাজী রাকায়েত পরিচালিত ‘গোর’ সর্বোচ্চ ১১টি পুরস্কার জিতে নিয়েছে। ৮টি পুরস্কার নিয়ে দ্বিতীয় অবস্থানে আছে চয়নিকা চৌধুরীর ‘বিশ্বসুন্দরী’।
২০২০ সালের জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারের তালিকা
চলচ্চিত্র– যৌথভাবে গোর (গাজী রাকায়েত, ফরিদুর রেজা সাগর) ও বিশ্বসুন্দরী (অঞ্জন চৌধুরী পিন্টু)।
স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র– আড়ং। শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র- বঙ্গবন্ধুর রাজনৈতিক জীবন ও বাংলাদেশের অভ্যুদয়।
চলচ্চিত্র পরিচালক– গাজী রাকায়েত হোসেন (গোর), শ্রেষ্ঠ অভিনেতা- সিয়াম আহমেদ (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রী- দীপান্বিতা মার্টিন (গোর), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেতা- ফজলুর রহমান বাবু (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অভিনেত্রী- অপর্ণা ঘোষ (গণ্ডি)।
খল অভিনেতা– মিশা সওদাগর (বীর), শ্রেষ্ঠ শিশুশিল্পী- মুগ্ধতা মোর্শেদ হৃদ্ধি (গণ্ডি), শিশুশিল্পী শাখায় বিশেষ পুরস্কার- শাহাদৎ হাসান বাধন (আড়ং)।
সঙ্গীত পরিচালক– বেলাল খান (হৃদয় জুড়ে), শ্রেষ্ঠ নৃত্য পরিচালক- প্রয়াত সহিদুর রহমান (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গায়ক- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ গায়িকা- যৌথভাবে দিলশাদ নাহার কণা (বিশ্বসুন্দরী) ও সোমনুর মনির কোনাল (বীর)।
গীতিকার– কবির বকুল (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ সুরকার- ইমরান মাহমুদুল (বিশ্বসুন্দরী), শ্রেষ্ঠ কাহিনিকার- গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্যকার- গাজী রাকায়েত (গোর), শ্রেষ্ঠ সংলাপ রচয়িতা- ফাখরুল আরেফীন খান (গণ্ডি), শ্রেষ্ঠ সম্পাদক- শরিফুল ইসলাম (গোর), শ্রেষ্ঠ শিল্প নির্দেশক- উত্তম কুমার গুহ (গোর)।
চিত্রগ্রাহক– যৌথভাবে পঙ্কজ পালিত (গোর) ও মাহবুব নিয়াজ (গোর)। শ্রেষ্ঠ শব্দগ্রাহক- কাজী সেলিম আহমেদ (গোর), শ্রেষ্ঠ পোশাক ও সাজসজ্জা- এনাম তারা বেগম (গোর), শ্রেষ্ঠ মেকআপম্যান- মোহাম্মদ আলী বাবুল (গোর)।