কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
বাংলাদেশের বহুল আলোচিত অ্যানিমেটেড চলচ্চিত্র ‘ টুমরো ’ এবার প্রচারিত হচ্ছে রাশিয়ান ভাষায়। আর এতে কন্ঠ দিয়েছেন রাশিয়া ও ইউক্রেনের শিল্পীরা। ২০১৯ সালে দীপ্ত টিভির জন্য ছবিটি নির্মিত হয়। এরপর এটি বিদেশেও বেশ প্রশংসা কুড়িয়েছে।
বর্তমানে ছবিটি বিভিন্ন ভাষায় ডাবিং করে প্রচার করা হচ্ছে। এর ধারাবাহিকতায় রাশিয়ান ভাষায় ছবিটি ডাব হয়েছে। শীঘ্রই সেখানে এটি প্রচার হবে।
ছবিটিতে কেন্দ্রীয় চরিত্র রাতুল ও বাতাসের বুড়ো চরিত্রগুলোতে কণ্ঠ দিয়েছেন ইউক্রেন ও রাশিয়ার দুই বাচিক শিল্পী। এই দুই দেশের আরও কয়েকজন শিল্পী ছবিটির বিভিন্ন চরিত্রে কণ্ঠ দিয়েছেন বলে জানিয়েছেন পরিচালক মোহাম্মদ শিহাব উদ্দিন।
তিনি বলেন, ‘এখন পর্যন্ত আটটি ভাষায় তৈরি হয়েছে ছবিটি। এরমধ্যে সবচেয়ে মজা পেয়েছি রাশিয়ান ভাষায় কাজ করতে গিয়ে। বিশেষ করে বাতাসের বুড়ো কণ্ঠটা একেবারে মিলে গেছে। রাশিয়ার অ্যানটম সিমকিন এই চরিত্রে কণ্ঠ দান করেছেন। ছোট রাতুল করেছে ইউক্রেনের এক বাচ্চা মেয়ে কোতুরহা ওলগা। তার মা পুরো জিনিসটা সামলিয়েছেন। ভদ্রমহিলা আমার কাছ থেকে ২১ দিন সময় নিয়েছেন। জানতে চাইলাম, যুদ্ধের মধ্যে কাজ করতে পারবে তো? বললেন, উনার শহর এখন একদম শান্ত। উনার সাথে কারেকশন নিয়ে অনেকবার কাজ করতে হয়েছে। ভদ্রমহিলা দারুণ উদ্যমী। ফলটা দারুণ হয়েছে শেষ পর্যন্ত।’
টুমরো ইংরেজি, হিন্দি, স্প্যানিশ, জার্মান, চায়নিজ, ফ্রেঞ্চ, অ্যারাবিক ও রাশিয়ান ভাষায় ডাবিং করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন নির্মাতা।
দীপ্ত টিভিতে ছবিটি প্রথম প্রচারিত হয়। এর দুই বছর পর এটি মুক্তি পায় ইউটিউবে। কাজী জাহিন হাসান এবং কাজী জিসান হাসানের প্রযোজনায় যৌথভাবে নাসিমুল হাসান ও আহমেদ খান হীরক ছবিটির চিত্রনাট্য রচনা করেছেন।
দীপ্ত টিভির প্রযোজনায় সাইকোর স্টুডিওতে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করা হয়। ২৫ মিনিটের এ স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্রে বৈশ্বিক উষ্ণতা ও জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব দেখানো হয়।
ছবিটিতে দেখা যায়, বৈশ্বিক উষ্ণতার প্রভাবে মেরু অঞ্চলের বরফ গলে তলিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশসহ আরও অনেক দেশ। ভবিষ্যতের পৃথিবী হবে খুব ভয়ঙ্কর। সেই ভয়ঙ্কর ভবিষ্যৎকেই রাতুল নামের এক শিশু দেখে ফেলে অতিপ্রাকৃত চরিত্র ‘বাতাসের বুড়ো’র মাধ্যমে। রাতুল এতদিন প্রকৃতিকে উপেক্ষা করে গেছে। সেই রাতুলই পৃথিবীর ভবিষ্যৎ বদলাবার ভার নিজের কাঁধে তুলে নেয়।