কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আয়োজনে শুরু হয়েছে দশ দিনব্যাপী ‘সাংস্কৃতিক উৎসব’। বুধবার ৭ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যা সাড়ে ৬টায় একাডেমির জাতীয় সংগীত ও নৃত্যকলা কেন্দ্র মিলনায়তনে প্রযোজনা বিভাগের ব্যবস্থাপনায় এ আয়োজন শুরু হয়।
‘সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২২’ এর উদ্বোধনীতে সভাপতিত্ব করেন একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী। অনুষ্ঠানটির তত্ত্বাবধানে ছিলেন একাডেমির প্রযোজনা বিভাগের পরিচালক সোহাইলা আফসানা ইকো।
উদ্বোধনী দিনে নৃত্য পরিবেশন করেন সাংস্কৃতিক উৎসবে বরেণ্য, প্রতিশ্রুতিশীল ও শিশু শিল্পীরা। দেশাত্মবোধ গান ‘সুন্দর সুবর্ণ’ পরিবেশন করেন অনন্যা প্রজ্ঞা। অণ্বেষা রওশনের কণ্ঠে লোকনৃত্য ‘কান্দুরী’, অপূর্বা ইসলামের ভরতনাট্যম ‘গোকুল’, হিয়া মেহজাবীন প্রজাপতি সৃজনশীল ‘সেদিন আর কত দূরে’ ও টাপুর সাহার পরিবেশনায় একক শিশু নৃত্য ভরতনাট্যম ‘শিবকৃত্ত নাম’ পরিবেশিত হয়।
এদিকে ওয়ার্দা রিহাব পরিবেশন করেন একক নৃত্য ‘শিবস্তুতি’ মনিপুরী, অমিত চৌধুরী ‘নরসিংহ কৌতুবাম’ ভরতনাট্যম, অনিক বোস ‘মোর বীণা ওঠে কোন সুরে বাজি’ দেশাত্মবোধক পরিবেশন করেন।
রাফিয়া খন্দকার রোজা ‘মেঘপল্লবী’ ওডিসি প্রান্তিক দেবশিব ‘তান্ডব’ ভরতনাট্যম, কস্তুরী মুখার্জী ‘ঝর ঝর বরিষে বারিধারা’ সৃজনশীল, আরিবা ইবনাত ‘ছোয়ারাধা অভিসার’ মনিপুরী, মেহবুবা চাঁদনী ‘কাদের কূলের বউ’ সৃজনশীল, মেহেরাজ হক তুষার ‘মা’ সমসাময়িক, মোহনা মিম ‘তিল্লানা’ ভরতনাট্যম, মৌসুমী রানী বর্মণ ‘চন্ডি বন্দনা’ গৌড়ীয়, হেনা হোসেন ‘আমি বনফুল গো’ সৃজনশীল পরিবেশন করেন।
আরও পরিবেশিত হয় অনিন্দিতা খানের ‘হারমনি অফ লাইফ’ সমসাময়িক, মো. সোহেল ভূঁইয়ার ‘পিনাকেতে লাগে টংকার’ সৃজনশীল এবং দিশা মনি পালের একক লোকনৃত্য ‘আজ ফাগুনে আগুন লাগে’।
দিলরুবা সাথীর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানটি শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেইজ এবং ইউটিউব চ্যানেলে সরাসরি সম্প্রচারিত হয়েছে।
আরও পড়ুন: ১৬ সেপ্টেম্বর মাসউদ সুমনের চলচ্চিত্র ‘ধূসরযাত্রা’র উদ্বোধনী প্রদর্শনী