কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
বেশকিছুদিন ধরে চলা কোটা সংস্কার আন্দোলন রূপ নিয়েছে সংঘর্ষে। সরকারি দলের ছাত্র সংগঠন ও আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সঙ্গে কোটা সংস্কার আন্দোলনকারীদের দফায় দফায় চলা সংঘর্ষে গত দুদিনে ৬ জনের প্রাণহানি ঘটেছে। এ ঘটনায় অনলাইন ও অফলাইনে সরব হয়েছে নানা শ্রেণী পেশার মানুষ। নেট দুনিয়ায় ছড়িয়েছে নানামুখী আলোচনা। এ আলোচনায় অংশ নিয়েছে সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে সংস্কৃতি কর্মী ও তারকারাও। দেরিতে হলেও এর পক্ষে বিপক্ষে প্রতিক্রিয়া জানাচ্ছেন তারা।
কোটা সংস্কার আন্দোলন থেকে প্রধানমন্ত্রীর মন্তব্যের প্রতিবাদে নিজেদের প্রতীকী ‘রাজাকার’ আখ্যা দিয়ে স্লোগান দেওয়ায় মুক্তিযুদ্ধ চেতনায় আঘাত বলে এর বিরুদ্ধে অবস্থান নিয়ে পাল্টা আন্দোলন শুরু করে ছাত্রলীগ। এর ফলে সারাদেশের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে ছাত্রলীগের সঙ্গে দফায় দফায় সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে আন্দোলনকারীরা। মুক্তিযোদ্ধাদের নাতিপুতিরা কোটা পাবেনা, তাহলে কী রাজাকারের নাতিপুতিরা কোটা পাবেন-এমন মন্তব্য করায় প্রধানমন্ত্রীর সমালোচনা করে আন্দোলনকারীরা ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় স্লোগান ধরে আমি কে, তুমি কে, রাজাকার, রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে স্বৈরাচার স্বৈরাচার।
‘রাজাকার’ স্লোগানে বিস্মিত সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট
আন্দোলনকারীদের পক্ষ থেকে এমন স্লোগান আসায় প্রথমেই বিবৃতি দিয়ে প্রতিবাদ জানিয়েছে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। সংগঠনটি বলেছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের একাংশের কণ্ঠে ‘আমরা সবাই রাজাকার’, ‘তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার’ স্লোগান অগ্রহণযযোগ্য। জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ ও সাধারণ সম্পাদক মো.আহ্কাম উল্লাহ স্বাক্ষিরিত বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় রাষ্ট্রভাষা আন্দোলন, পাকিস্তানি শাসনামলে শিক্ষা সংকোচন নীতির বিরুদ্ধে লড়াই এবং ঐতিহাসিক ৬ দফা ও ১১ দফার পক্ষে জাতিকে ঐক্যবদ্ধ করে উনসত্তরের গণ–অভ্যুত্থানের সূচনা করেছিল। ১৯৭১ সালের ১৪ ডিসেম্বর পাকিস্তানি দখলদার বাহিনীর সহযোগী রাজাকার-আলবদর বাহিনী ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রখ্যাত শিক্ষকদের বাসা থেকে ধরে নিয়ে রায়েরবাজার বধ্যভূমিতে নির্মমভাবে খুন করেছে। সেই ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় চত্বরে ‘রাজাকার’ স্লোগান তাঁদের বিস্মিত করেছে।
মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতাকারী রাজাকার বাহিনীর পরিচয়কে আত্মপরিচয় হিসেবে স্লোগান দেওয়ার পর বাংলাদেশের জাতীয় পতাকা বহন করার নৈতিক অধিকার থাকে কি না, সে প্রশ্নও তুলে সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। যাঁরা বিভ্রান্ত হয়েছে, তাঁরা ‘জয় বাংলা’ স্লোগান কণ্ঠে তুলে নেবেন বলেও মত দেয় জোট।
এদিকে কোটা সংস্কারের আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকাসহ দেশের অন্যান্য শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলো রক্তাক্ত হয়েছে। ৬জন নিহতসহ আহত হয়েছে শতাধিক ছাত্র-ছাত্রী। এ ঘটনায় বিস্ময় প্রকাশ করেছে সংস্কৃতিকর্মীরা। কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনরতদের পক্ষে নিজেদের মত তুলে ধরে সামাজিক মাধ্যমে সরব হয়েছেন।
প্রয়াত কথাসাহিত্যক হুমায়ূন আহমেদের সহধর্মিনী অভিনেত্রী ও নির্মাতা মেহের আফরোজ শাওন রংপুর মোড়ে নিহত হওয়া একজন আন্দোলনকারী আবু সাঈদের মৃত্যুর বিষয়ে উল্লেখ করে ফেসবুকে একটি স্ট্যাটাস দিয়েছেন। তিনি লিখেছেন, বুক চিতিয়ে দাঁড়ানো এই নিরস্ত্র মানুষটাকে সরাসরি গুলি করা পুলিশ ভাই কি কাল রাতে ঘুমাতে পেরেছেন? উনার কি কোনো সন্তান আছে? সেই সন্তানের চোখের দিকে তাকাতে উনার কি একটুও লজ্জা লাগবে না!
মেহের আফরোজ শাওন নিজেকে কোটা সংস্কারের পক্ষে জানিয়ে হ্যাশট্যাগও দিয়েছেন।
নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী ফেসবুকে লিখেছেন, আপনারা যারা ভাবছেন আন্দোলনটা স্রেফ একটা চাকরীর জন্য, তারা বোকার স্বর্গে আছেন। আপনারা এর সবগুলা শ্লোগান খেয়াল করেন। দেখবেন, এই আন্দোলন নাগরিকের সম মর্যাদার জন্য। এই আন্দোলন নিজের দেশে তৃতীয় শ্রেণীর নাগরিক হিসাবে না বাঁচার জন্য। এই আন্দোলন রাষ্ট্রক্ষমতায় যারা আছেন তাদের মনে করিয়ে দেয়ার জন্য যে, দেশের মালিক তারা না। আসল মালিক জনগণ। সেই জনগণকে রাষ্ট্র যে পাত্তা দেয় না, এই আন্দোলন সেটার বিরুদ্ধেও একটা বার্তা। রাষ্ট্র জনগণকে কেনো পাত্তা দেয়না এই আন্দোলনকারীরা সেটাও বোঝে। যে কারণে ভোটের বিষয়টাও শ্লোগান আকারে শুনেছি। আমি এটাকে এইভাবেই পাঠ করছি।
তিনি আরও লিখেন, পাবলিক সারভেন্ট শব্দটা বেশ ভালো। নির্বাচিত (!) প্রতিনিধি বা যে কোনো সরকারী বেতনভুক্ত ব্যক্তিকে এই শব্দেই ডাকা উচিত সবসময়। এই আন্দোলন সেই পাবলিক সারভেন্টদের মনে করিয়ে দেয়ার চেষ্টা করছে, আপনি আমার কাছে জবাবদিহি করতে বাধ্য।
অল পাওয়ার টু দ্য পিপল।
অল পাওয়ার টু দ্য ইয়ুথ।
প্রেয়ারস ফর মাই ফেলো সিটিজেনস।
শহীদের রক্ত কখনো বিফলে যায় না।
কোটা সংস্কার আন্দোলনের নামে মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করা হচ্ছে এমন দাবি করে বিবৃতিও দিয়েছে অভিনয়শিল্পী সংঘ। সংঘের সাধারণ সম্পাদক রওনক হাসান তার ফেসবুকে লিখেছেন, ‘কোটা সংস্কার হতেই পারে।..কিন্তু হাজারো সাধারণ ছাত্র-ছাত্রীদের এই আন্দোলনকে সুকৌশলে যেদিকে প্রবাহিত করা হলো তা দেখে এটাই স্পষ্ট এর মাস্টারমাইন্ড কারা।’
অভিনেতা মারজুক রাসেল সংঘর্ষের একটি ছবি পোস্ট দিয়ে লিখেছেন, ‘দুইপক্ষই ছাত্র তবে শিক্ষা আলাদা।’
সুপারস্টার শাকিব খানের উদ্বেগ ও আফরান নিশোর কাব্যময়তা
চলমান কোটা সংস্কার আন্দোলনে সংঘর্ষ ও সংঘর্ষে নিহত ও আহতদের বিষয়ে কথা বলেছেন ঢালিউড কিং চিত্রনায়ক শাকিব খান। নিজের ফেসবুক পেজে তিনি লিখেছেন, আমার প্রাণের বাংলাদেশ এভাবে রক্তাক্ত হতে পারে না। কারো মা-বাবার বুক এভাবে খালি হতে পারে না। আপনারা যারা অভিভাবক পর্যায়ে আছেন, তাদের কাছে অনুরোধ রইলো, এখনি আন্দোলনরত শিক্ষার্থীদের সাথে কথা বলে এই সংকটের যৌক্তিক সমাধান বের করুন। সব ধরণের সংঘাতের সমাপ্তি চাই।
এক ইন্সটাগ্রাম স্টোরিতে অভিনেতা আফরান নিশো নিজের কাব্যময়তা প্রকাশ করে লিখেছেন, আমার সোনার বাংলা আমাদের প্রাণ লাল সবুজের পতাকা সবুজের মাঝে লাল। বাবা মুক্তিযোদ্ধা, চেতনা- লড়ব যদি যাক প্রাণ, লাল সবুজের পতাকা… তাদেরই প্রতিদান তাদের আত্মত্যাগের ঘ্রাণ। তবে আজ কেন এত লাল? সবুজে লাল খুঁজি, লালে সবুজ নয়। পতাকা হচ্ছে রক্তাক্ত, পুরো জাতি কি আজ অবুঝ?
বলেন না?
মা বলেন, আর চাইনা লাল
ফিরিয়ে দাও আমার সবুজ
লাল সবুজের পতাকায় আজ কেন এত লাল?
সবশেষে তিনি আরও লিখেন, শান্তি চাই। হোক সংস্কার। অপমান চাই না। রক্তাক্ত রাজপথ চাই না। হোক সমাধান। লাল সবুজের পতাকায় আর তো লাল চাই না।
এর আশু সমাধান প্রত্যাশা করে অভিনেত্রী তানজিন তিশা ফেসবুকে লিখেছেন, শিক্ষাই জাতির মেরুদণ্ড। আজকের শিক্ষার্থীরা আগামীর দেশ গড়ার কারিগর। কিন্ত আজ ভালো নেই আমার দেশ, আমার শহর। শিক্ষাঙ্গনে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ ফিরে আসুক। খুব দ্রুত চলমান সংকটের সমাধান হবে সেটাই প্রত্যাশা করছি।
অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আমি খুব সাধারণ একজন মানুষ এবং অভিনেতা হিসেবে রাজনীতির এত এত কঠিন কৌশল বুঝি না। শুধু একটা প্রশ্ন বুঝি, তরুণ তাজা যে প্রাণগুলো অকালে ঝরে গেল, তার দায় কে নেবে? যে মায়ের বুক খালি হলো, তাঁর আর্তনাদ কি কোনো জনমে শেষ হবে? হায়রে দুর্ভাগা দেশ! নোংরা রাজনীতির নামে এই রক্তপাত বন্ধ হোক।’
চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্যাডে পোস্ট দেওয়ায় সমালোচিত নিপুন
চিত্রনায়িকা নিপুণ আক্তার চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির প্যাড ব্যবহার করে ফেসবুকে একটি পোস্ট দিয়েছেন। যেখানে তিনি বলেছেন, ‘বাঙালির সবচেয়ে গৌরবময় অধ্যায় ১৯৭১ এবং আমাদের মহান মুক্তিযুদ্ধ। মুক্তিযোদ্ধারা তাদের সর্বস্ব বাজি রেখে পরাধীনতার শৃঙ্খল থেকে মুক্ত করে স্বাধীন সার্বভৌম এই বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম দিয়েছেন। মুক্তিযোদ্ধাদের এই ঋণ আমরা কোনোদিন শোধ করতে পারবো না। কিন্তু বাঙালি তার শেষ বিন্দু রক্ত দিয়ে হলেও মুক্তিযোদ্ধাদের প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা জানিয়ে যাবে।’
বিজ্ঞপ্তিতে আরও বলা হয়, ‘কোটা সংস্কারের যৌক্তিক আন্দোলন নিয়ে আমাদের কিংবা রাষ্ট্র কারও কোনো বিভেদ নেই। কোনো ব্যক্তি বা গোষ্ঠীর যেকোনো যৌক্তিক রাজনৈতিক বা সামাজিক আন্দোলনের প্রতি আমাদের পূর্ণ সমর্থন রয়েছে। কিন্তু এই কোটা আন্দোলনকে ইস্যু করে যারা মুক্তিযোদ্ধাদের অসম্মান করছেন এবং রাজাকারদের প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা করছেন তাদের প্রতি তীব্র নিন্দা, ঘৃণা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। মনে রাখতে হবে… তুমি কে?, আমি কে?, বাঙালি, বাঙালি… এই শ্লোগান বাঙালি জাতির সবচেয়ে গর্বের শ্লোগান। জয় বাংলা।’
তবে বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির অফিসিয়াল প্যাড ব্যবহার করে বিবৃতি দেওয়ায় সমালোচনার মুখে পড়েছেন নিপুন। তবে এ নিয়ে নিপুনের বা সমিতির কারও কোনো মন্তব্য জানা যায়নি।
নির্মাতা আশফাক নিপুণ এক স্ট্যাটাস দিয়ে লিখেছেন, ‘ছাত্রদের পাশে দাঁড়ান।’
চিত্রনায়িকা পরীমণি এক নারী শিক্ষার্থীর রক্তমাখা একটি ছবি শেয়ার করে লিখেছেন, ‘নারীর প্রতি সহিংসতায় আপনার জবান বন্ধ থাকলে আপনি মুনাফিক।’
চিত্রনায়িকা শবনম বুবলী তার পোস্টে লিখেছেন, ‘শিক্ষার্থীদের রক্ত ঝরবে কেন?’
চলচ্চিত্র ও নাটক নির্মাতা বদরুল আনাম সৌদ লিখেছেন, ‘একের পর এক ভুল। সব পক্ষেরই ভুল। যুক্তি, চিন্তা, স্ট্যাটিকস- সব ভুলে বসে আছি সবাই। হুজুগ আর ক্ষমতা লড়ছে। সংলাপ বসে আছে অসহায় হয়ে।’
নির্মাতা খিজির হায়াত খান লিখেছেন, ‘আমাদের আগামীরা আজকে দেশব্যাপী রাজপথে। ওদের স্লোগান নিয়ে অনেক প্রশ্ন কিন্তু কেন এই স্লোগান সেটা নিয়ে কোন কথা নাই। ন্যায্য অধিকারের আন্দোলন কাউকে রাজাকার বানায় না, বরং ওদের হাত ধরেই স্বাধিকার আসে। আমি ওদের পক্ষে দাঁড়ালাম।’
নির্মাতা রেজওয়ান শাহরিয়ার সুমিত লিখেছেন, ‘এরা বুক ফুঁলিয়ে যতই ‘জয় বাংলা’ বলে চেঁচাক, ১৯৭১-র মহান মুক্তিযুদ্ধের সাথে ২০২৪-র আজকের এই ছাত্রলীগের কোনো ধরণের সম্পর্ক আছে বলে আমি মনে করি না। আজ এরা চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, অর্থলোভী পঙ্গপাল ছাড়া কিছুই নয়। আন্দোলনরত ছাত্রদের সঙ্গে আলোচনায় না গিয়ে এই পঙ্গপাল বাহিনী লেলিয়ে দেওয়া কোন আদর্শের রাজনীতি আমি জানি না। তবে বঙ্গবন্ধুর রাজনীতি বা দর্শনের সাথে তার কোন মিল নেই, তা ঢের বলতে পারি। এই পঙ্গপাল পুষতে পুষতে কবে গোটা জাতিই চেতনাহীন, পথভ্রষ্ট, ও অর্থলোভী হয়ে যায়!’
এদিকে নিজেদের রাজাকার বলে স্লোগান তোলায় এর সমালোচনা করে লেখক ও নির্দেশক মাসুম রেজা ফেসবুকে লিখেছেন, ‘যারা একাত্তরে পরাজিত হলো তাদের পরিচয়ে নিজেদেরকে পরিচিত করছেন! কী দারুণ মেধাবী আপনারা! এত মেধা আপনাদের কোন প্রেতাত্মা সাপ্লাই করছে!’
বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে উত্তাল সারাদেশ। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে এ নিয়ে ব্যপক সংঘাতে ঘটেছে প্রাণহানি। ৬জন নিহতসহ আহত হয়েছে শতাধিক। এ নিয়ে বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে সকল ধরণের শিক্ষা প্রতিষ্ঠান। প্রতিবাদে বিক্ষোভ আরও তুঙ্গে অবস্থান করছে। সারাদেশে কমপ্লিট শাটডাউনের ডাক দিয়েছে আন্দোলনকারীরা। রাজনৈতিক দল থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ। এমনকি সংস্কৃতি কর্মী থেকে এ জগতের তারকারাও উদ্বিগ্ন।