সাতচল্লিশের দেশভাগ ও একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ এ দেশের একটি অংশকে শরণার্থী করে দিয়েছে। বাংলাদেশের কিছু নিম্নশ্রেণির হিন্দু ভারতে পাড়ি দিতে বাধ্য হয়েছিলো। হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের সে সময় একটা অংশ এসে আশ্রয় নিয়েছিলো পশ্চিমবঙ্গের মরিচঝাঁপিতে। সরকারি আশ্বাসেই সেখানে আবাস গড়ে তুলেছিলেন তারা। কিন্তু নির্বাচনের পর সেখানে শুরু হয় উদ্বাস্তু উচ্ছেদ। পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ পরগণা জেলার এই দ্বীপের শরণার্থী উচ্ছেদ করতে খাবার ও পানি বন্ধ করে দেয়া হয়। ঘরে আগুন দেয়া, নৌকা ডুবানোসহ নির্বিচারে মানুষ হত্যা করা হয়। ১৯৭৯ সালের ১৬ মে মরিচঝাঁপিকে গণহত্যার মাধ্যমে উদ্বাস্তু শূন্য করা হয়। সরকারি হিসেবে, সেখানে মোট নিহতের সংখ্যা মাত্র দুই জন হলেও বিভিন্ন হিসেবে মৃতের সংখ্যা হাজার ছাড়ায়। এই ইতিহাসের অনুপ্রেরণায় নির্মিত হয়েছে ওয়েব সিরিজ ‘ফেউ’। জনপ্রিয় ওটিটি প্লাটফর্ম চরকির জন্য সুকর্ন সাহেদ ধীমান সিরিজটি নির্মাণ করেছেন।
পরিচালক সুকর্ন সাহেদ ধীমান জানিয়েছেন, ২০১৬ থেকে ২০২১ সালের মধ্যে তিনি এসব তথ্য সংগ্রহ করেছেন, এগিয়েছে গল্প বুননের কাজ। ধীমান বলেছেন, ‘২০২১ এ আমার মনে হয় এটি দিয়ে আমি কিছু নির্মাণ করতে চাই। ২০২২ সালের ডিসেম্বরে গল্পটা লক করি। চিত্রনাট্যের ১৭টা ড্রাফট করার পর আমরা কাজ শুরু করতে পেরেছি।
সুকর্ন সাহেদ ধীমানের সঙ্গে এর গল্প লিখেছেন রোমেল রহমান আর চিত্রনাট্য করেছেন সিদ্দিক আহমেদ। শীঘ্রই চরকিতে সিরিজটি দেখা যাবে। এর মুক্তির তারিখ দ্রুতই জানানো হবে বলেও জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ। এর আগে ১১ জানুয়ারি রাতে সিরিজের অ্যানাউন্সমেন্ট টিজার প্রকাশ পেয়েছে। যার ক্যাপশনে লেখা, “কী ঘটেছিল ১৯৭৯ সালে? কী লুকানো হয়েছে আমাদের কাছ থেকে? চরকিতে শিগগির আসছে সত্য ঘটনা থেকে অনুপ্রাণিত চরকি অরিজিনাল সিরিজ ‘ফেউ’।