কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
বাংলা কথাসাহিত্যের জাদুকর, নির্মাতা ও সাংস্কৃতিক আইকন হুমায়ূন আহমেদ—যার গল্পে আমরা খুঁজে পাই হাসি, কষ্ট, প্রেম ও জীবনের মায়াবী বাস্তবতা। তাঁর জন্মদিন ১৩ নভেম্বর। এ বছর সেই দিনটি পাবে এক বিশেষ মর্যাদা—রাষ্ট্রীয়ভাবে উদযাপিত হবে হুমায়ূনের জন্মদিন।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি এবার আয়োজন করছে বিস্তৃত পরিসরের এক বর্ণাঢ্য উৎসব। ‘সেলিব্রেটিং বাংলাদেশি লেজেন্ডস’ শিরোনামের এই সিরিজের প্রথম পর্ব উৎসর্গ করা হচ্ছে হুমায়ূন আহমেদকে।
সংস্কৃতিবিষয়ক উপদেষ্টা ও নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকী সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক আবেগঘন বার্তায় লেখেন,
“হুমায়ূন আহমেদ—স্বাধীনতা-পরবর্তী বাংলাদেশে সবচেয়ে প্রভাবশালী কালচারাল আইকন সম্ভবত তিনিই।”
ফারুকী আরও জানান,
“এই ১৩ নভেম্বর আমরা উদযাপন করব হুমায়ূন আহমেদকে আরও বড় ও বিস্তৃত আয়োজনে। গান হবে, ছবি দেখানো হবে, আলাপ হবে—হুমায়ূনের সৃষ্ট জগতের নানা দিক নিয়ে।”
তিনি রসিক ভঙ্গিতে যোগ করেন, “ভালো হতো যদি ১৩ তারিখটা ভরা পূর্ণিমা হতো। ক্যালেন্ডার বলছে, পূর্ণিমা ৫ তারিখে। অসুবিধা নাই—সেইদিনই হবে ভালোবাসার পূর্ণিমা।”
শিল্পকলা একাডেমির ফেসবুক পেজে নজর রাখার আহ্বান জানিয়ে ফারুকী বলেন, আয়োজনে অংশ নিতে পারবেন হুমায়ূনপ্রেমীরা। থাকবে চলচ্চিত্র প্রদর্শনী, সংগীতানুষ্ঠান, পাঠচক্র ও মুক্ত আলাপের আসর।
একইসঙ্গে ফারুকী ইঙ্গিত দিয়েছেন, ‘সেলিব্রেটিং বাংলাদেশি লেজেন্ডস’ সিরিজে শুধু হুমায়ূন নন, থাকছেন আরও অনেক বরেণ্য ব্যক্তিত্ব—হাছন রাজা, শাহ আবদুল করিম, আব্বাসউদ্দীন আহমদসহ শিল্পের নানা শাখার কিংবদন্তিরা।
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির পরিচালকরা ইতিমধ্যে এই প্রকল্পের পরবর্তী পর্বগুলোর প্রস্তুতি নিচ্ছেন।
একজন মানুষ চলে গিয়েও কতভাবে বেঁচে থাকেন—তারই এক উজ্জ্বল উদাহরণ হুমায়ূন আহমেদ। তাঁর সৃষ্টি, তাঁর সংলাপ, তাঁর চরিত্র আজও আমাদের দৈনন্দিন জীবনের অংশ। এবার সেই ভালোবাসাই ছড়িয়ে পড়বে রাষ্ট্রীয় এক উৎসবে—‘ভালোবাসার পূর্ণিমা’ নামের আলোয়।