কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমিতে ১১ দিনব্যাপী ‘গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব-২০২২’ শুরু হয়েছে। এ উৎসবে বাংলাদেশ ও ভারতের প্রায় ৪ হাজার শিল্পী অংশগ্রহণ করেছে।
শুক্রবার ২১ অক্টোবর জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক পর্ষদ আয়োজিত এ উৎসবের উদ্বোধন করেছেন নাট্যকার আতাউর রহমান। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ, নাট্যকার রামেন্দু মজুমদার, আসাদুজ্জামান নূর, মামুনুর রশীদ, নাসির উদ্দীন ইউসুফ, শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকী, আইএফআইসি ব্যাংকের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও প্রধান নির্বাহী শাহ আলম সারোয়ার প্রমুখ। গঙ্গা-যমুনা সাংস্কৃতিক উৎসব পর্ষদের আহ্বায়ক গোলাম কুদ্দুছ এতে সভাপতিত্ব করেন।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এ উৎসব সম্পর্কে বলেন, ‘ভারত ও বাংলাদেশের মৈত্রীর বন্ধনকে সুদৃঢ় করতে এ উৎসবের যেমন গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রয়েছে, একইসঙ্গে অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ গড়ার ক্ষেত্রেও এ উৎসবের বিশেষ ভূমিকা রয়েছে।’
শুক্রবার উদ্বোধনী সন্ধ্যায় জাতীয় নাট্যশালা মিলনায়তনে থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘পোহালে শর্বরী’ প্রদর্শিত হয়। সুরেন্দ্র বর্মার মূল রচনা থেকে অংশুমান ভৌমিক এটি অনুবাদ করেছেন। নাটকটি নির্দেশনা দিয়েছেন রামেন্দু মজুমদার। একই সন্ধ্যায় পরীক্ষণ থিয়েটার মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয় পুলিশ থিয়েটারের নাটক ‘অভিশপ্ত অগাস্ট’। রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন জাহিদুর রহমান।
স্টুডিও থিয়েটার মিলনায়তনে মানিকগঞ্জের নিরাভরণ থিয়েটার প্রযোজিত নাটক ‘জুঁইমালার সইমালা’ মঞ্চস্থ হয়। এটি রচনা ও নির্দেশনা দিয়েছেন আনন জামান। মহিলা সমিতি মিলনায়তনে মঞ্চস্থ হয়েছে লোক নাট্যদল (বনানী) প্রযোজিত ‘কঞ্জুস’। মলিয়রের মূল রচনা থেকে রূপান্তর করেছেন তারিক আনাম খান, নির্দেশনা দিয়েছেন কামরুন নূর চৌধুরী।
আগামী ৩১ অক্টোবর পর্যন্ত চলবে এবারের উৎসব। বাংলাদেশ ও ভারতের ১২২টি সাংস্কৃতিক সংগঠন এতে অংশ নেয়। প্রায় চার হাজারের মতো শিল্পী অংশগ্রহণ করেছেন।
এই আয়োজনে উন্মুক্ত মঞ্চে পথ নাটক ৯টি। রয়েছে ১৫টি আবৃত্তি সংগঠন, ১২টি সঙ্গীত সংগঠন, ৭টি নৃত্য সংগঠন, ১০টি শিশুদলের পাশাপাশি একক আবৃত্তি ও একক সঙ্গীত পরিবেশনা।
উন্মুক্ত মঞ্চের সাংস্কৃতিক পর্ব অনুষ্ঠিত হবে প্রতিদিন বিকাল সাড়ে ৪টা থেকে সাড়ে ৬টা। মঞ্চনাটক অনুষ্ঠিত হবে প্রতিদিন সন্ধ্যা ৭টায়। মঞ্চ নাটক দেখতে টিকেট কিনতে হবে।
আরও পড়ুন: বঙ্গবন্ধু হত্যার বেদনাবিধুর আখ্যান ‘জনকের অনন্তযাত্রা’