কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
শনিবার দুপুরে সৌদি থেকে ঢাকা বিমানবন্দরে অবতরণ করেন ঢাকাই সিনেমার জনপ্রিয় চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি। আর বিমানবন্দরে পা রাখার সঙ্গে সঙ্গে গ্রেফতার হন তিনি। পুলিশের করা ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেফতার হয়েছেন তিনি। তাকে ইতোমধ্যে নেওয়া হয়েছে কারাগারে।
গাজীপুর মেট্রোপলিটন ম্যাজিস্ট্রেট আদালতের নির্দেশে তিনি গাজীপুর জেলা কারাগারে বন্দি রয়েছেন। দুপুর ১২টা থেকে গ্রেফতার হয়ে বিকেলের মধ্যে কারাগারে মাহি। আর এই সময়ে শোবিজ অঙ্গনের তারকাদের কোনো আলাপ আলোচনা ও কথা শোনা যায়নি। প্রথমে তিনজন নির্মাতা ও পরে একে একে মুখ খুলছেন তারকারা। মাহির গ্রেফতার প্রসঙ্গে নিজেদের অভিমত ব্যক্ত করছেন তারা। আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা মাহিয়া মাহিকে নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তারা।
মাহির গ্রেফতারে উদ্বেগ জানিয়ে জনপ্রিয় অভিনেত্রী জয়া আহসান ফেসবুকে লিখেছেন, ‘অভিনেত্রী মাহিয়া মাহিকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে প্রেফতার করা হয়েছে। মাত্রই খবরে পড়লাম, পুলিশ তাকে রিমান্ডে আনার আবেদন করলেও আদালত তা মঞ্জুর করেননি। মাহি জনপ্রিয় অভিনেত্রী, কিন্তু দেশের সব নাগরিকের মতো তিনিও আইনের অধীন। তবে এই কথাটা বিশেষভাবে মনে রাখা দরকার, তিনি এখন ৯ মাসের অন্তঃসত্ত্বা। তার অভিযোগের তদন্ত চলুক, কিন্তু একজন গর্ভধারিণী মায়ের এবং তার সন্তানের যেন কোনও ক্ষতি না হয়।’
এদিকে মাহির গ্রেফতারে প্রতিবাদ করে নির্মাতা শিহাব শাহীন, আশফাক নিপুণ ও রেদওয়ান রনি স্ট্যটাস দিয়েছেন। উদ্বেগ জানিয়ে কথা বলেছেন চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুন আক্তার।
শিহাব শাহীন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আরাভ খান (দুবাইয়ে পালিয়ে থাকা পুলিশ সদস্য হত্যা মামলার আসামি) থেকে দৃষ্টি সরে যাবে সবার। মাহিকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই।’
আশফাক নিপুণ লিখেছেন, ‘ডিজিটাল সিকিউরিটি আইনে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতারে নিন্দা। অবিলম্বে এই আইন বাতিল করতে হবে।’
নির্মাতা রেদওয়ান রনি লিখেছেন, ‘মাহিয়া মাহিকে গ্রেফতারের তীব্র নিন্দা জানাই। ডিজিটাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।’ নায়িকা জাহারা মিতু, নায়ক আদর আজাদসহ অনেকে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের অপব্যবহার ও একজন অন্তঃসত্ত্বা নারীর প্রতি এমন আচরণের নিন্দা জানাচ্ছেন।
তবে চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভূমিকা সম্পর্কে জানতে চাইলে সমিতির সাধারণ সম্পাদক নিপুণ আক্তার জানিয়েছেন, মাহির গ্রেফতারের খবরটা তারা পেয়েছেন। কিন্তু সাংগঠনিকভাবে তাদের খুব বেশি কিছু করার সুযোগ নেই। নিপুন বলছেন, এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার। ওর বিরুদ্ধে বাদী হয়েছেন আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সাংগঠনিকভাবে আমরা কী করতে পারবো, বুঝতে পারছি না।
তিনি বলেন, কারণ আইন তো সবার উর্ধে। শুধু এটুকুই বলবো যে, মাহির যে শারীরিক অবস্থা, যতদূর জানি সে এখন সাত-আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা; যতটা সম্ভব ওকে যাতে ভালোভাবে রাখে। বাকিটা আসলে আমরা বুঝতে পারছি না, যেহেতু এটা রাষ্ট্রীয় ব্যাপার হয়ে গেছে।
আরও পড়ুন: ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে গ্রেপ্তার, কারাগারে চিত্রনায়িকা মাহিয়া মাহি