দুই বাংলার জনপ্রিয় চলচ্চিত্র অভিনেত্রী জয়া আহসান। সামাজিক অসঙ্গতির বিরুদ্ধে তিনি সর্বদা সরব থাকেন। প্রাণীর প্রতি ভালোবাসা, মানুষের প্রতি ভালোবাসা তার আবেগ, অনুভূতিতে ঝড় তোলে। এমনটা অনেক সময় আমরা দেখেছি। এবার তিনি মুখ খুললেন, করলেন প্রতিবাদ। বৈষম্যের বিরুদ্ধে আওয়াজ তুলে আদিবাসী দাবি করাদের উপর হামলার নিন্দা ও প্রতিবাদ জারি রাখলেন। সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের উপর হামলায় সে সব বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের সঙ্গে যুক্ত বৈষম্যের কাজ করাদের ঈমান নিয়েও করলেন সন্দেহ।
ফেসবুকে দেওয়া এক পোস্টে জয়া আহসান লিখেছেন- আদিবাসী নাগরিকদের রক্তে ঢাকার রাস্তা যেভাবে রক্তাক্ত করা হলো, সেটা মর্মান্তিক। এই রক্ত বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের জখম আত্মা থেকেই বের হলো। কারণ বৈষম্যের বিরুদ্ধে ছাত্র-জনতার আন্দোলনে আদিবাসীরাও শরিক হয়েছিলো। একদিকে আমরা সংবিধানের বৈষম্য দূর করতে চাচ্ছি, অন্যদিকে সংবিধানের দোহাই দিয়ে আদিবাসীদের ওপর হামলা করছি। আমাদের ঈমান ঠিক আছে তো?
জয়া আহসান আশা প্রকাশ করে এ সময় আরও লিখেছেন-এ দেশ থেকে সব ধরনের বৈষম্য দূর হোক।
বুধবার দুপুরে ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র ব্যানারে একদল নৃগোষ্ঠীর ছাত্র-জনতা পাঠ্যবইয়ে ‘আদিবাসী’ লেখা গ্রাফিতিটি পুনর্বহালের দাবিতে এনসিটিবি’র সামনে কর্মসূচি পালন করতে গিয়েছিলো। একই সময়ে সেখানে হাজির হয় পাঠ্যপুস্তকে ‘আদিবাসী’ শব্দ প্রবেশ এবং জুলাই গণ-অভ্যুত্থানবিরোধী অখণ্ড ভারতের কল্পিত গ্রাফিতি সংযোজনের সঙ্গে জড়িতদের শাস্তিসহ পাঁচ দফা দাবিতে ‘স্টুডেন্ট ফর সভরেন্টি’ নামে একটি সংগঠনের সদস্যরা। দুই পক্ষের বাদানুবাদের মধ্যে লেগে যায় মারামারি। ‘সংক্ষুব্ধ আদিবাসী ছাত্র-জনতা’র বেশ কয়েকজন সদস্য এতে গুরুতর আহত হয়। এ ঘটনায় সোশ্যাল মিডিয়ায় ব্যাপক সমালোচনা হচ্ছে। প্রতিবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।
এর পরের দিন বৃহস্পতিবার নৃগোষ্ঠী শিক্ষার্থীদের কর্মসূচিতে হামলার ঘটনায় জড়িতদের গ্রেপ্তার ও বিচারের দাবিতে সাধারণ ছাত্র-জনতা স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার চেষ্টা করলে শিক্ষা ভবনের সামনে পুলিশ তাদের বাধা দেয়। দু’পক্ষের মধ্যে বাদানুবাদ ও সংঘর্ষের ঘটনাও ঘটেছে। পুলিশ লাঠিচার্জ করে বিক্ষোভকারী ছাত্রদের ছত্রভঙ্গ করে দিয়েছে।