বিশেষ প্রতিবেদক:
২০১৮ সালের ২৬ জানুয়ারি শুক্রবার সকাল ৬টায় হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে ইহলোক ত্যাগ করেন ভারতের বিখ্যাত অভিনেত্রী সুপ্রিয়া দেবী। কলকাতার বালিগঞ্জ সার্কুলার রোডের বাড়িতে তার মৃত্যু ঘটে। খবরটা পাওয়ার পর পরই যেন এক গুমোট পরিবেশ। চারদিকে যেন সবাই বলছে তাদের কানে ভেসে আসছে সেই সুর। আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে তোলা সেই আকুতি দাদা আমি বাঁচবো……….।
নীতার ঋত্বিক ঘটকের অমর সৃষ্টি মেঘে ঢাকা তারার নীতা। তাঁর আকাশ বাতাস কাঁপিয়ে বাঁচতে চাওয়ার আকুতি-“দাদা আমি বাঁচবো” দর্শক হৃদয়ে ঝড় তোলে। হু হু করে কেঁদে উঠে মন। যারা এই ছবিটি একবার দেখেছেন তাদের মনে যেন এই চরিত্রটি গেঁথে গেছে। আর যখন চলে গেলেন নীতা সবার মনই হয়ে আছে বিষন্ন।
চলচ্চিত্রে অভিনয়ের মাধ্যমে ৫০ বছরের অধিক সময় মাতিয়ে রেখেছিলেন তিনি। আসল নাম কৃষ্ণা, ডাকনাম বেনু। তিনি পশ্চিম বঙ্গের সর্বোচ্চ বেসামরিক উপাধি বঙ্গভূষণ, ভারতের চতুর্থ সর্বোচ্চ বেসামরিক উপাধী “পদ্মশ্রী” অর্জন করেন। মাত্র সাত বছর বয়সে বাবার হাত ধরে অভিনয়ে আসেন তিনি। বাবার পরিচালতি দুটি নাটকে অভিনয় করেন। নাচ করতেন ছোটবেলা থেকে।
সুপ্রিয়া দেবীর জন্ম বার্মার (মায়ানমার) মিয়িত্কিনায়। বাবা বিখ্যাত আইনজীবী গোপাল চন্দ্র বন্ধোপাধ্যায়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় তারা ভারতে চলে আসেন। সাত বছর বয়সে বাবার হাত ধরে অভিনয়ে আসেন তিনি। বাবার পরিচালতি দুটি নাটকে অভিনয় করেন। নাচ করতেন ছোটবেলা থেকে।
এ সময় বাংলা ছবির দর্শকদের মনজুড়ে ছিলো উত্তম-সুপ্রিয়া জুটি। তার প্রথম চলচ্চিত্র ছিল উত্তম কুমারের সঙ্গে ‘বসু পরিবার’।
তিনি বেগানা (১৯৬৩), সূর্য শিখা (১৯৬৩), কোমল গান্ধার (১৯৬১), মেঘে ঢাকা তারা (১৯৬০), শুন বর নারী (১৯৬০), হানিমুন (১৯৯২), ইমান কল্যাণ (১৯৮২), কলঙ্কিনী কঙ্কাবতী (১৯৮১), মন নিয়ে (১৯৮১), দেবদাস (১৯৭৯), দুই পুরুষ (১৯৭৮), সন্ধ্যা রাগ (১৯৭৭), সন্ন্যাসী রাজা (১৯৭৫), যদি জানতেম (১৯৭৪), বাঘবন্দী খেলা (১৯৭৫), বনপলাশীর পদাবলী (১৯৭৩),চিরদিনের (১৯৬৯), তিন অধ্যায় (১৯৬৮), কাল তুমি আলেয়া (১৯৬৬) প্রভৃতি ছবিতে অভিনয় করেছেন।