সুইডেনের সর্বকালের সেরা চলচ্চিত্র নির্মাতা ইঙ্গমার বার্গম্যান। ছিলেন একাধারে চলচ্চিত্র পরিচালক, চিত্রনাট্যকার, লেখক ও প্রযোজক। ইশ্বরের অস্তিত্ব ও মানব সম্পর্কের টানাপোড়েন নিয়ে তৈরি তাঁর চলচ্চিত্রে সৃজনশীলতার উপস্থিতি ছিলো প্রবল। এই চলচ্চিত্রকারের জন্মশত পূর্ণ হলো এ বছরের ১৪ জুলাই। মহান এ চলচ্চিত্রকারের জন্মশতবর্ষে আলোচনা ও চলচ্চিত্র প্রদর্শনীর আয়োজন করেছে চলচ্চিত্র ফিল্ম সোসাইটি।
রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির জাতীয় চিত্রশালা মিলনায়তনে ২ ডিসেম্বর রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হবে। আলোচনার বিষয়: ইঙ্গমার বার্গম্যান: অস্তিত্ববাদী চেতনার চলচ্চিত্রকার। মূল আলোচক মইনুদ্দিন খালেদ। অন্যদের মধ্যে আলোচনায় অংশ নিবেন চলচ্চিত্র গবেষক মাহমুদুল হোসেন ও ড. জাকির হোসেন রাজু। এরপর দেখানো হবে চলচ্চিত্র: দি সেভেন্থ সীল(১৯৫৭)।
এছাড়া ৩ ডিসেম্বর সোমবার বিকেল ৪টায় ওয়াইল্ড স্ট্রবেরিজ (১৯৫৭), সন্ধ্যা ৬টায় উইন্টার লাইট (১৯৬৩), ৪ ডিসেম্বর মঙ্গলবার বিকাল ৪টায় দি সাইলেন্স (১৯৬৩)
সন্ধ্যা ৬টায় পারসোনা (১৯৬৬) চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে।
উল্লেখ্য, ইঙ্গমার বার্গম্যান পরিচালিত চলচ্চিত্র ও প্রামাণ্যচিত্র প্রায় ৬০টি। এছাড়া তিনি ছিলেন সেই সময়ের বিখ্যাত নাট্যকার। তিনি দেড়শ’র মতো নাটক পরিচালনা করেন। তাঁর প্রথম পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমা ‘দ্য ডেভিলস ওয়ান্টন’(১৯৪৯) ‘কমেডি স্মাইলস অব আ সামার নাইট’ (১৯৫৫) তৈরি করে তিনি আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি লাভ করেন। তাঁর ইতিহাসের সেরা ক্লাসিক চলচ্চিত্রের মধ্যে রয়েছে: ‘শেইম’ (১৯৬৮), ‘ক্রাইস অ্যান্ড হুইসপারস’ (১৯৭২), ‘আফটার দ্য রিহার্সাল’ (১৯৮৪),। তিনি দ্য ভার্জিন স্প্রিং, থ্রু এ গ্লাস ডার্কলি ও ফ্যানি অ্যান্ড আলেকজান্ডার চলচ্চিত্রের জন্য অস্কারের বিদেশী ভাষা বিভাগে অ্যাওয়ার্ড পান।