নিজস্ব প্রতিবেদক :
হালের মিউজিক ক্রেজ হৃদয় খান। তিনি একাধারে একজন গায়ক, সুরকার, সঙ্গীত পরিচালক, প্রযোজক ও অভিনেতা। আজ এই জনপ্রিয় সঙ্গীতশিল্পীর জন্মদিন।
আজকের এই দিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবার তাকে জানাচ্ছে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
১৯৯০ সালে ৩ জানুয়ারি এক সঙ্গীত পরিবারে হৃদয় খানের জন্ম। দাদা মইনুল ইসলাম খান ও বাবা রিপন খান দু’জনই সঙ্গীতাঙ্গনের মানুষ। ছোট ভাই প্রত্যয় খানও একজন গায়ক, সুরকার ও সঙ্গীত পরিচালক।
ছোটবেলা থেকেই শুরু হয় হৃদয় খানের সঙ্গীত চর্চা। ২০০৭ সালে গানের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান লেজার ভিশন থেকে প্রকাশিত হয় হৃদয় খান ফিচারিং ‘হৃদয় মিক্স’। তার প্রথম একক অ্যালবাম ‘বল না’ বাজারে আসে ২০০৮ সালে। ‘হৃদয় মিক্স ২’ প্রকাশিত হয় ২০১০ সালে। তার দ্বিতীয় অ্যালবাম ‘ছোঁয়া’ ২০১১ সালে মুক্তি পায়। ২০১২ সালে ‘হৃদয় মিক্স ৩’ প্রকাশিত হয়। তার তৃতীয় অ্যালবাম ‘ভালো লাগে না’ বাজারে আসে ২০১৪ সালে।
বর্তমানে হৃদয় খান মিউজিক ভিডিও আকারে গান প্রকাশ, সুর করা ও প্রযোজনা করেছেন। পাশাপাশি চলচ্চিত্রে সঙ্গীত পরিচালানা ও প্লেব্যাক করছেন। এর মধ্যে ‘চোরাবালি’, ‘মোস্ট ওয়েলকাম’, ‘এইতো ভালবাসা’, ‘অবুঝ ভালবাসা’, ‘আমার প্রাণের প্রিয়া’, ‘টেলিভিশন’, ‘আই লাভ ইউ’, ‘অ্যান্ট স্টোরি’, ‘আমি শুধু চেয়েছি তোমায়’, ‘আরো ভালোবাসবো তোমায়’, ‘সুইটহার্ট’ ও ‘যদি একদিন’ সিনেমা অন্যতম।
বেশ কিছু টেলিভিশন নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। তার উল্লেখযোগ্য নাটকের মধ্যে রয়েছে ‘ক্ষরণ’, ‘রূপকথা’, ‘ফিরে যাওয়া হল না’ প্রমূখ।
‘যদি একদিন’ সিনেমার জন্য শ্রেষ্ঠ সঙ্গীত পরিচালক হিসেবে ভারত-বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পুরস্কার পান হৃদয় খান।
সঙ্গীত ক্যারিয়ারে সফলতা পেলেও তার পারিবারিক জীবনে কিছুটা টানাপোরড়নের মধ্যে কাটছে। ২০১০ সালে পূর্ণিমা আকতারকে বিয়ে করেন তিনি। ছয় মাসের মাথায় ভেঙ্গে যায় সংসার। এরপর ২০১৪ সালে মডেল ও অভিনেত্রী সুজানা জাফরের সঙ্গে বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হন। ২০১৫ সালে সেই সংসারও ভেঙ্গে যায়। ২০১৯ সালে প্রবাসী হোমায়রাকে বিয়ে করেন তিনি।