করোনাক্রান্ত বর্ষবরণ হবে ডিজিটালি। বরাবরের মতো পহেলা বৈশাখে রমনার বটমূলে ছায়ানটের বর্ষবরণ অনুষ্ঠান হচ্ছে না। কারণটা সবারই জানা। করোনা ভাইরাসের বিস্তারে থমকে গেছে পুরো বিশ্ব। পৃথিবীর মানুষ আজ বন্দি ঘরে। এই প্রেক্ষাপটে ছায়ানটের এবারের বর্ষবরণ হবে ডিজিটাল প্লাটফর্ম ও টেলিভিশনের পর্দায়।
‘উৎসব নয়, সময় এখন দুর্যোগ প্রতিরোধের’-এ প্রতিপাদ্যে এক ঘন্টার একটি অনুষ্ঠান সাজানো হয়েছে। যা পহেলা বৈশাখে সকাল ৭টায় বিটিভিতে প্রচার করা হবে। সঙ্গে সঙ্গে ছায়ানটের ইউটিউব চ্যানেল ও বিটিভির ফেসবুক পেজেও অনুষ্ঠানটি প্রচারিত হবে। বেসরকারি টেলিভিশনগুলো বিটিভির সঙ্গে আলোচনা করে ফ্রেশ ফিড পেতে পারে বলে জানানো হয় ছায়ানট থেকে।
ছায়ানটের সভাপতি সনজীদা খাতুন এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
বিবৃতিতে জানানো হয়, এ অনুষ্ঠানে বরাবরের মতো সনজীদা খাতুনের একটি বক্তব্য প্রচার করা হবে। এছাড়া ছায়ানটের আগেকার বর্ষবরণ অনুষ্ঠানের সংকলিত বেশ কিছু অংশ ও গান প্রচারিত হবে এ অনুষ্ঠানে।
এ বিষয়ে সনজীদা খাতুন জানান, স্বাধীনতার আকাঙ্ক্ষা আর মানব কল্যাণের ব্রত নিয়ে পাকিস্তানি আমলের বৈরী পরিবেশে ১৯৬১ সালে ছায়ানটের জন্ম। তাই এ সংগঠন সমাজের প্রতি আজন্মই দায়বদ্ধ। ১৯৬৭ সাল থেকে প্রতিবছর রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখের ভোরে বাংলা নববর্ষকে স্বাগত জানায় ছায়ানট।
সনজীদা খাতুন বলেন, ১৯৭১ সালে দেশকে শত্রুমুক্ত করার সশস্ত্র সংগ্রামের সময় থেকে রমনার বটমূলে পহেলা বৈশাখ উদযাপন কখনও বন্ধ হয়নি। ছায়ানট এবারে সীমিত আকারে বাংলা বর্ষবরণ আয়োজন করতে যাচ্ছে।
রবীন্দ্র সঙ্গীত নিষিদ্ধে পাকিস্তানী শাসকগোষ্ঠীর অন্যায় নির্দশনার প্রতিবাদে গর্জে উঠা সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বদের নিয়ে গড়ে উঠে ছায়ানট। মোখলেসুর রহমান, শামসুন্নাহার রহমান, সুফিয়া কামাল ও ওয়াহিদুল হক এই সংগঠনের উদ্যোক্তা। সংগঠনটি বর্ষবরণের অনুষ্ঠান আয়োজনে সীমাবদ্ধ নয়। এ সংগঠনটি দেশে বাদ্যযন্ত্র, সঙ্গীত, নৃত্যসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রশিক্ষণ দিয়ে থাকে। এটি বাংলাদেশের একটি বড় সঙ্গীত শিক্ষালয়।