বাংলাদেশী টিভি নাটকের ভিন্ন ধারার পরিচালক ও অভিনেতা ছিলেন তিনি। চলচ্চিত্র অভিনয়ে রেখেছেন মেধার স্বাক্ষর। তিনি প্রয়াত হুমায়ূন কবীর সাধু। গত বছরের ২৫ অক্টোবর তিনি মারা যান। আজ তাঁর জন্মদিন। এ দিনে কালচারাল ইয়ার্ড তাঁকে স্মরণ করছে।
১৯৮২ সালের ১ মে চট্টগ্রামে জন্ম ঊন মানুষ টেলিফিল্মের এ অভিনেতার। ৯ ভাইবোনের মধ্যে তিনি ছিলেন সপ্তম। দৈহিক গঠনে ছোট হওয়ায় তিনি স্কুলে যেতে পারেননি প্রথমে। বিদ্যালয়ের শিক্ষকরা তাকে ভর্তি করাতে চায়নি। হুমায়ূনের বড় ভাই সাইফুল কবীর তাকে স্কুলে ভর্তি করাতে শিক্ষকদের অনুরোধ করেন। পরে দেখা যায় হুমায়ুন ২য় শ্রেণিতে ভর্তি হয়ে ১৩০ জন ছেলে-মেয়েকে পেছনে ফেলে প্রথম হন।
ছোটবেলায় মা মরিয়ম বেগমের সঙ্গে হিন্দি, ইংরেজি এবং বাংলা সিনেমা দেখতেন তিনি। সে সময় তিনি দেখেছেন লাইফ ইজ বিউটিফুল, চিলড্রেন অফ হ্যাভেন, সিটি অফ গড ও ফেলুদার মতো চলচ্চিত্র। সেই থেকে নির্মাণ ও অভিনয়ের প্রতি আগ্রহ জন্মে তাঁর।
২০০১ সালে জীবিকার তাগিদে ঢাকা চলে আসেন। পরিচয় ঘটে চলচ্চিত্র নির্মাতা মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর সাথে। ফারুকীর সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন তিনি। তিনি এ সময় চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদের সঙ্গেও কাজ করেন। এরপর নাটক ও চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন তিনি।
ফারুকী নির্মিত টেলিফিল্ম ‘ঊন মানুষ’-এ অভিনয়ের মাধ্যমে ব্যাপক জনপ্রিয়তা পান তিনি। নাটকটি তাঁর মতো ছোটখাটো মানুষদের জীবনীভিত্তিক টেলিফিল্ম। এছাড়া তিনি নিজেই নিজের জীবনের আরেকটি দিক নিয়ে নির্মাণ করেন নাটক ‘চিকন পিনের চার্জার’। তিনি নিজেই এ নাটকে অভিনয় করেন।
তিনি বেশ কিছু শর্টফিল্ম ও নাটক লিখেছেন। তাঁর লেখা গল্পের বই ‘ননাই’ ২০১৯ সালের বইমেলায় প্রকাশিত হয়। হুমায়ূন সাধুর প্রযোজনায় ‘আমার ঘরে বিরাজ করে লালনগীতি’ নামে একটি সঙ্গীত অ্যালবাম বের হয়। যা অ্যামাজনে প্রকাশ পায়।