জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে নিযুক্ত হয়েছেন সঙ্গীতশিল্পী ও অভিনেতা তাহসান খান। তাহসান হলেন প্রথম বাংলাদেশী যিনি জাতিসংঘে দূত হিসেবে নিয়োগ পেলেন। তিনি আগামী ২ বছরের জন্য এই দায়িত্ব পালন করবেন।
শনিবার (২ জানুয়ারি) জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থা বাংলাদেশ প্রধান স্টিফেন করলিস এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, সারাবিশ্বে শরণার্থী সংস্থার মোট ৩২জন শুভেচ্ছাদূত আছেন। তারা তাদের জনপ্রিয়তা, নিষ্ঠা ও কাজের মাধ্যমে বিভিন্ন দেশে অবস্থিত শরণার্থীদের পরিস্থিতি ও সংস্থাটির কার্যক্রম সবার সামনে তুলে ধরেন। তাহসান ২০১৯ সাল থেকে শরণার্থীদের কথা মানুষের কাছে পৌঁছে দেয়ার লক্ষ্যে ইউএনএইচসিআর’র সাথে বিভিন্ন কাজ করছেন।
এ সময় সেখানে উপস্থিত থাকা তাহসান জানান, তিনি জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার সাথে যুক্ত হতে পেরে সম্মানিত ও গর্বিতবোধ করছেন। তিনি বলেন, আজ সংঘাত ও নির্যাতনের কারণে পৃথিবীর এক শতাংশেরও বেশি মানুষ বাস্তুচ্যুত। ভাগ্যবান ৯৯ শতাংশ মানুষের একজন হিসেবে শরণার্থীদের হয়ে কথা বলা মানবিক দায়িত্ব বলেই মনে করেন তাহসান।
এ সময় রোহিঙ্গাদের আশ্রয় দেওয়ার জন্য প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও সরকারকে ধন্যবাদ জানিয়ে তিনি বলেন, এই সমস্যা একদিনে সমাধান হবে না। এই পথটি অনেক দুর্গম। এ সময় এতবড় দায়িত্ব পালনে শঙ্কার কথা জানিয়ে তিনি সবার সহায়তা চান। এ সময় রোহিঙ্গাদের জন্য প্রথমে গান অডিও-ভিডিও আকারে করার চিন্তা-ভাবনার কথা জানান তিনি।
ইউএনএইচসিআর-এর বাংলাদেশে নিযুক্ত প্রতিনিধি স্টিভেন করলিস তাহসানকে এই দায়িত্ব নেওয়ার জন্য ধন্যবাদ জানান। এটি একটি সম্মান ও গর্বের ব্যাপার বলেও মত দেন তিনি।
১৯৭১ সালে শরণার্থী বাংলাদেশীদের পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন দেশ থেকে স্বাধীন বাংলাদেশে ফিরিয়ে আনার মাধ্যমে বাংলাদেশে কাজ শুরু করে ইউএনএইচসিআর। চলমান রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য সহায়তা প্রদানের মাধ্যমে সংস্থাটি এখনও বাংলাদেশে কাজ করছেন।