কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক :
কিংবদন্তি চলচ্চিত্রকার, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার ও পরিচালক গাজী মাজহারুল আনোয়ারের জন্মদিন আজ। তিনি ১৯৪৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি কুমিল্লার দাউদকান্দি উপজেলার তালেশ্বর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন।
একুশে পদকসহ দেশী বিদেশী নানা পুরস্কার পাওয়া এই গুনী সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্বের জন্মদিনে কালচারাল ইয়ার্ডের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা।
পাঁচ দশকের ক্যারিয়ারে তিনি অসংখ্য গান রচনা করেছেন। চলচ্চিত্রের কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেছেন। পরিচালক ও সঙ্গীত পরিচালক হিসেবেও তিনি বরেন্য হয়ে আছেন। বিবিসি’র জরিপে সর্বকালের সেরা ২০ বাংলা গানের মধ্যে তিনটি গানের রচয়িতা তিনি।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার ২০০২ সালে একুশে পদকে ভূষিত হয়েছেন। তিনি গীতিকার হিসেবে ৫ বার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। এছাড়া তিনি প্রেসিডেন্ট স্বর্ণপদক, এস এম সুলতান স্মৃতি পদক, বাচসাস পুরস্কারসহ দেশে বিদেশে বহু পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন।
ষাটের দশকে কলেজের ছাত্রাবস্থায় গান লেখা শুরু করেন তিনি। এ পর্যন্ত তাঁর গানের সংখ্যা ২০ হাজারের উপরে। মুক্তিযুদ্ধ, দেশপ্রেম, প্রেম, বিরহ, প্রকৃতি তাঁর গানের উপজীব্য হয়েছে।
১৯৬৪ সালে রেডিও পাকিস্তানে পেশাদার গীতিকার হিসেবে জীবন শুরু করেন গাজী মাজহারুল আনোয়ার। ১৯৬৫ সালে চলচ্চিত্রে যুক্ত হন। এরপর সিনেমার জন্য তিনি লিখেছেন চিত্রনাট্য, গান, সংলাপ ও কাহিনি। বাংলাদেশ টেলিভিশনের জন্মলগ্ন থেকে তিনি লিখেছেন গান ও নাটক।
সুভাষ দত্তের ‘আয়না ও অবশিষ্ট’ চলচ্চিত্রে ‘আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল’ গানটি দিয়ে চলচ্চিত্রের গান লেখা শুরু করেন তিনি। তাঁর প্রযোজিত ও পরিচালিত সিনেমার মধ্যে রয়েছে-স্বাধীন, শর্ত, চিত্রকথা থেকে শাস্তি, ক্ষুধা, স্নেহ, তপস্যা, উল্কা, এই যে দুনিয়া, পরাধীন, আর্তনাদ, পাষাণের প্রেমসহ অসংখ্য।
গাজী মাজহারুল আনোয়ার জয় বাংলা, বাংলার জয়, আছেন আমার মোক্তার আছেন আমার ব্যারিস্টার, একতারা তুই দেশের কথা বলরে এবার বল, একবার যেতে দেনা আমার ছোট্ট সোনার গাঁয়, জন্ম আমার ধন্য হল, গানের খাতায় স্বরলিপি লিখে, আকাশের হাতে আছে একরাশ নীল, যার ছায়া পড়েছে, শুধু গান গেয়ে পরিচয়, চলে আমার সাইকেল হাওয়ার বেগে, তুমি কি দেখেছো কভু জীবনের পরাজয়সহ অসংখ্য কালজয়ী গান রচনা করেছেন তিনি।