বাংলাদেশের বাউল গানের সম্রাজ্ঞী বলা হয় তাঁকে। ফোক দুনিয়ার অন্যতম জনপ্রিয় শিল্পী ও সংসদ সদস্য মমতাজ বেগম। আজ তাঁর জন্মদিন। করোনাকালে কোন জাঁকজমক নেই এই শিল্পীর জন্মদিনে। তবে এ দিনে তিনি নিজ নির্বাচনী এলাকার জনমানুণের জন্য পৌঁছে দিচ্ছেন ত্রান সহায়তা।
আট শতাধিক এ্যালবামের বিশ্বরেকর্ড করে দীর্ঘ ত্রিশ বছর বাংলা গানকে বিশ্বের দরবারে সমাদৃত করেছেন লোকজ গানের এই সুর সম্রাজ্ঞী। লোকজ গানকে তিনি আধুনিক ধারায় তুলে ধরে অনেক দুর নিয়ে গেছেন। বাংলার মাটি ও মানুষের গায়িকা মমতাজের জন্মদিনে কালচারাল ইয়ার্ড পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।
গতবারের মতোন এবারের করোনাকালীন মমতাজ কোন জন্মদিনের আয়োজন রাখেননি। মানিকগঞ্জে নিজ নির্বাচনী এলাকার সাধারণ অসহায় মানুষদের হাতে সরকারী ত্রাণ তহবিল থেকে এবং নিজের তহবিল থেকেও ত্রাণ তুলে দিবেন-এমনটাই জানিয়েছেন তিনি।
জন্মদিনটি সাধারণ মানুষের সঙ্গে সাধারণভাবেই কাটাবেন জানিয়ে মমতাজ বলেন, ‘জন্মদিন নিয়ে কোন উচ্ছ্বাস নেই, আনন্দ নেই। এটা সত্যি ফেসবুক’সহ নানা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আমাকে অনেকেই শুভেচ্ছা জানাচ্ছেন। অনেকেই মুঠোফোনেও ফোন করে শুভেচ্ছা জানান, সবার ভালোলাগা ভালোবাসা থেকেই তা করা। এটা আমার জন্য অনেক বড় প্রাপ্তি। মানুষের ভালোবাসা পাওয়া সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি হিসেবেই আমি বিবেচনা করি।
১৯৭৪ সালের ৫ মে মানিকগঞ্জ জেলার সিঙ্গাইর উপজেলায় জন্মগ্রহণ করেন মমতাজ বেগম। বাবা বাউল শিল্পী মধু বয়াতির কাছে গানের হাতেখড়ি। মাতাল রাজ্জাক দেওয়ান ও লোক গানের শিক্ষক আবদুর রশীদ সরকারের কাছেও গান শেখেন তিনি। লোক গানের শিক্ষক আব্দুর রশীদকে বিয়েও করেন তিনি।
দেশ ও দেশের বাইরে তিনি সঙ্গীত পরিবেশনে প্রশংসা পাচ্ছেন গত তিন দশক ধরে। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যেও তাঁর গান হচ্ছে সমাদৃত। বাংলা সংস্কৃতির একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষঙ্গ মমতাজ বেগমের গান। তিনি দুইবার শ্রেষ্ঠ নারী কণ্ঠশিল্পী বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেছেন। এছাড়া তিনি আরটিভি স্টার অ্যাওয়ার্ডস লাভ করেছেন।
২০০৯ সালে নবম জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসনে তিনি আওয়ামী লীগের সংসদ সদস্য মনোনীত হয়েছেন। ২০১৪ সালে দশম জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি মানিকগঞ্জ-২ থেকে নির্বাচিত হন।