ফকির আলমগীরের প্রয়াণে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর শোক
প্রকাশের সময় :
কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীরের প্রয়াণে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গভীর শোক জানিয়েছেন। ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে যে শূণ্যতা তৈরি হয়েছে তা পূরণ হওয়ার নয় উল্লেখ করে তাঁর আত্নার শান্তি কামনা করেন রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রী।
এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘ফকির আলমগীরের মৃত্যুতে দেশের সঙ্গীত অঙ্গনে যে শূন্যতা সৃষ্টি হলো তা কখনো পূরণ হওয়ার নয়। তার গান তরুণ প্রজন্মের মাঝে দেশপ্রেমের নবজাগরণ ও মুক্তিযুদ্ধের চেতনা বিকাশে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখেছে।’
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় থেকে পাঠানো এক শোকবার্তায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘এ দেশের সঙ্গীতাঙ্গনে বিশেষ করে গণসঙ্গীতকে জনপ্রিয় করে তুলতে ফকির আলমগীরের ভূমিকা স্মরণীয় হয়ে থাকবে। প্রধানমন্ত্রী এ সময় মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন এবং শোকসন্তপ্ত পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
করোনায় আ্ক্রান্ত হয়ে গণসঙ্গীতশিল্পী ফকির আলমগীর প্রয়াত হন শুক্রবার ২৩ জুলাই রাত ১১টায়। ফকির আলমগীর বেশকিছুদিন ধরে জ্বর ও খুসখুসে কাশিতে ভুগছিলেন। পরে তিনি জানতে পারেন তিনি কোভিড পজিটিভ। সেদিনই তাঁর শ্বাসকষ্ট শুরু হলে তাঁকে হাসপাতালে নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নেওয়া হয়। ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপের সমস্যায়ও ভুগছিলেন তিনি।
১৯৫০ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা আন্দোলনের স্মরণীয় দিনটিতে ফরিদপুর জেলার ভাঙ্গা থানার কালামৃধা গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন ফকির আলমগীর। জগন্নাথ কলেজে স্নাতক ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সাংবাদিকতায় এমএ ডিগ্রি অর্জন করেন তিনি। ষাটের দশক থেকে তিনি সঙ্গীতচর্চা করেন।
গণআন্দোলনের কর্মী থেকে তিনি গণসঙ্গীতের অগ্রপথিক হিসেবে তিনি মেহনতি মানুষকে উজ্জীবিত করেছেন আজীবন। ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থানে তাঁর গণসঙ্গীত উদ্দীপনার তৈরি করে। এছাড়া একাত্তরের মহান মুক্তিযুদ্ধে এবং নব্বই এর সামরিক শাসনবিরোধী গণআন্দোলনে তিনি গান দিয়ে সবাইকে উজ্জীবিত করেছেন।
বাংলা পপ গানের বিকাশেও তিনি ছিলেন অগ্রগামী। ‘ও সখিনা’ গানের জন্য ব্যপক জনপ্রিয় ছিলেন ফকির আলমগীর। সাংস্কৃতিক সংগঠন ঋষিজ শিল্পীগোষ্ঠীর প্রতিষ্ঠাতা তিনি। সঙ্গীতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতিস্বরুপ তিনি রাষ্ট্রীয় ‘একুশে পদক’-এ ভূষিত হয়েছিলেন।