কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
জীবনের ময়দানে হাফ সেঞ্চুরি করেছেন চিত্রনায়ক রিয়াজ। ১৯৭২ সালের আজকের এই দিনে তিনি জন্মেছিলেন। তাঁর কর্মজীবন শুরু হয়েছিলো বিমানবাহিনীতে। কিন্তু তিনি একসময় চলচ্চিত্রে এসে থিতু হন। নব্বই দশকের বহু ব্যবসাসফল সিনেমা উপহার দিয়েছেন। একসময় হয়ে উঠেছেন গুনী অভিনেতা।
প্রয়াত নায়ক জসীমের হাত ধরে ‘বাংলার নায়ক’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে অভিষেক ঘটেছিলো রিয়াজের। ১৯৯৭ সালে মহম্মদ হান্নান পরিচালিত ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’ সিনেমায় অভিনয়ের মাধ্যমে জনপ্রিয়তা পেয়েছেন তিনি। সালমান শাহের মৃত্যুর পর প্রযোজক ও পরিচালকদের আস্থার জায়গা হয়ে উঠেন রিয়াজ। তিনি শাবনূরের সঙ্গে জুটি বেঁধে অভিনয় করেন। এ সময় শাবনুরের বিপরীতে তার সফল জুটি গড়ে ওঠে। এ সময় নায়িকা পূর্ণিমার সঙ্গেও সফল জুটি গড়ে ওঠে তার।
নব্বই দশক থেকে শূণ্য দশক বেশকিছু বিজ্ঞাপনচিত্রেও অভিনয় করেন তিনি। এ সময় নন্দিত সাহিত্যিক ও নির্মাতা হুমায়ূন আহমেদের হাত ধরে টেলিভিশন নাটক ও নন্দিত সিনেমায়ও নিজের জাত চেনান এ অভিনেতা। তিনি বেশকিছু টেলিভিশন অনুষ্ঠানও উপস্থাপনা করেন।
তার পুরো নাম রিয়াজ উদ্দিন আহমেদ সিদ্দিক। তিনি অসংখ্য ব্যবসাসফল সিনেমায় অভিনয় করেছেন। সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে- ‘বিয়ের ফুল’, ‘নারীর মন’, ‘হৃদয়ের আয়না’, ‘প্রাণের চেয়ে প্রিয়’, ‘প্রেমের তাজমহল’, ‘স্বপ্নের বাসর’, ‘ও প্রিয়া তুমি কোথায়’, ‘শ্যামল ছায়া’, ‘দারুচিনি দ্বীপ’, ‘শ্বশুরবাড়ি জিন্দাবাদ’, ‘মনের মাঝে তুমি’, ‘হৃদয়ের কথা’সহ অসংখ্য সিনেমা রয়েছে তার ঝুলিতে।
ভারতীয় চলচ্চিত্রকার ও অভিনেতা মহেশ মাঞ্জরেকারের ‘ইট ওয়াজ রেইনিং দ্যাট নাইট’ নামে একটি ইংরেজি সিনেমায়ও অভিনয় করেছেন তিনি। এছাড়া কলকাতার সঙ্গে বেশ কিছু যৌথ প্রযোজনার ছবিতেও অভিনয় করেছিলেন তিনি।
হুমায়ুন আহমেদের বহু নাটকেও অভিনয় করেছেন তিনি। এর মধ্যে রয়েছে ‘উড়ে যায় বকপক্ষী’, আবুল হায়াত পরিচালিত ‘জোছনার ফুল’সহ বহু নাটক রয়েছে তার ঝুড়িতে।
রিয়াজ চলচ্চিত্রে অভিনয়ের জন্য তিনবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারে ভূষিত হয়েছিলেন। সিনেমাগুলোে হলো ‘দুই দুয়ারী’ (২০০০), ‘দারুচিনি দ্বীপ’ (২০০৭) ও ‘কি যাদু করিলা’ (২০০৮)। এছাড়া তিনি সাতবার মেরিল প্রথম আলো পুরস্কারসহ বিভিন্ন সম্মাননায় ভূষিত হয়েছেন।
আরও পড়ুন: ঝড়ো হাওয়ার রাতে নগরে নামলো যেনো সাদা পরী