কালচারাল ইয়ার্ড ডেস্ক:
আগামী বাজেটে অনুদানের চলচ্চিত্রে টাকার অঙ্ক বাড়ানো হবে বলে জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বর্তমানে একটি পূর্ণদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য ২৫ লাখ ও স্বল্পদৈর্ঘ্য সিনেমার জন্য সরকার ২০ লাখ টাকা অনুদান দেয়া হয়। আগামী বাজেটে অনুদান আরও বাড়ানোর উদ্যোগ নেওয়া হবে।
৯ মার্চ বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু আন্তর্জাতিক সম্মেলন কেন্দ্রে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার-২০২১ প্রদানকালে দেওয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এ সব কথা বলেন। এ সময় করোনা মহামারী কাটিয়ে দুই বছর পর সশরীরে চলচ্চিত্র পুরস্কার অনুষ্ঠানে আসলেন প্রধানমন্ত্রী। তাকে পেয়ে উচ্ছ্বাসিত ছিলেন পুরস্কার পাওয়া শিল্পীরা।
জীবনধর্মী সিনেমা নির্মাণে তরুণদের আরও বেশি মনোযোগী হওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, তরুণদের মধ্যে আলাদা একটা মেধা ও চিন্তাশক্তি আছে। তাদের মধ্যে শৈল্পিক মেধা আছে। জীবনধর্মী সিনেমা তৈরি করতে হবে, যেগুলো মানুষকে আকর্ষিত করে, এ ধরনের সিনেমা তৈরিতে মনোযোগী হতে হবে।
চলচ্চিত্র শিল্পকে আরও উন্নত করতে সরকার ব্যবস্থা নিয়েছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বেশ কিছু সিনেমা আন্তর্জাতিকভাবে সমাদৃত হয়েছে। ২৫ লাখ টাকা একটি সিনেমার জন্য যথেষ্ট নয়, এটা অনেক কম। এ দিয়ে হয় না। একটা ভালো বাজেট হলে ভালো সিনেমা নির্মাণ করা সম্ভব বলে আমি করি। তাই আগামী বাজেটে এ টাকার পরিমাণ আরও বাড়ানো হবে।
এ সময় প্রধানমন্ত্রী বাংলাদেশের চলচ্চিত্র শিল্প নিয়ে সরকারের ইতিবাচক পদক্ষেপ তুলে ধরে বলেন, একটা সিনেমা একজন মানুষের জীবনকে পাল্টে দিতে পারে, একটা সমাজকে পাল্টে দিতে পারে। আগামি বাজেটে চলচ্চিত্রে অনুদানের পরিমাণ বাড়ানোর বিষয়েও উদ্যোগ নেয়ার কথাও জানিয়েছেন শেখ হাসিনা।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা গুণী অভিনেত্রী ডলি জহুরের হাতে আজীবন সম্মাননা পুরস্কার তুলে দেন। যুগ্মভাবে একই পুরস্কার পেলেও দেশের বাইরে অবস্থান করায় অনুষ্ঠানে আসেননি চিত্রনায়ক ইলিয়াস কাঞ্চন। তার পুরস্কারটি গ্রহণ করেন নায়কের ভাগ্নি নূরে জান্নাত।
এরপর এবারের চলচ্চিত্র পুরস্কার পাওয়া অভিনয়শিল্পী ও কলা-কুশলীদের হাতে পুরস্কার তুলে দেন প্রধানমন্ত্রী।
আরও বলেন: বিজয়ীদের হাতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার তুলে দিলেন প্রধানমন্ত্রী