মাতৃভাষার শুদ্ধ চর্চায় ব্রত কন্ঠশীলন। কন্ঠশীলনের ব্রতচারীরা প্রমিত উচ্চারণ ও আবৃত্তি শিক্ষার মাধ্যমে সারাদেশে ছড়িয়ে দিচ্ছে বাচিক শিল্প চর্চাকে। এই সংগঠনের মাধ্যমে সুন্দরভাবে প্রমিত উচ্চারণে কথা বলতে শিখছে সব বয়সী মানুষ। শুধুমাত্র ভাষাকে ভালবেসে ও ভাষার প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে বাচিক শিল্প, সঙ্গীত ও আবৃত্তি শিল্পকে এগিয়ে নিতে কাজ করছে কন্ঠশীলন।
তিন দশকের ধারাবাহিকতায় শুরু হয়েছে কণ্ঠশীলন পরিচালিত শুদ্ধ উচ্চারণ ও আবৃত্তিশিক্ষার একনবতিতম (৯১তম) আবর্তন। অর্থাৎ এর আগে পেরিয়ে গেছে ৯০টি আসর। চার মাসের এই আবর্তনের প্রশিক্ষক হিসেবে সবসময়ের মত আছেন মীর বরকত, গোলাম সারোয়ার, অধ্যাপক নিরঞ্জন অধিকারী, ড. সৌমিত্র শেখর, সুদীপ চক্রবর্তী ও নরোত্তম হালদার।
এক মান ভাষা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে শুরু থেকেই আন্দোলন করে যাচ্ছে বাচিক চর্চা ও প্রসারের এই প্রতিষ্ঠানটি। ২ বৈশাখ ১৩৯১ বঙ্গাব্দ মোতাবেক ১৯৮৪ সালের ১৫ এপ্রিলে যাত্রা করে প্রতিষ্ঠানটি।
এ প্রতিষ্ঠানের অশীতিতম আবর্তনের শিক্ষার্থী ফারুখ আহমেদ আরিফ কালচারাল ইয়ার্ডকে বলেন, আমার কাছে কণ্ঠশীলন মানে একটি আবেগ-অনুভূতি। কণ্ঠশীলন কাকে কি দিয়েছে তা আমার মতো নগন্য ব্যক্তির দ্বারা পরিমাপ বা পরিমাণ করা সম্ভব নয় তবে এ কথা সূর্যের আলোর মতো বলতে পারি কণ্ঠশীলন আমাকে শাণিত ও পরিশীলিত করছে গড়ে তুলছে।