সুন্দরী তার মায়ের পরামর্শে বাড়ি ছেড়ে নিজের রুপ লুকিয়ে ছদ্মবেশে ঘুরতে থাকে নানান জায়গায়। বাহ্নির মেলায় তার সংগে দেখা হয় ছলিমের। ঘটনাক্রমে সে আশ্রয় পায় ছলিমের বাড়িতে। তাদের বিয়েও হয়। বিবাহিত নারীর রুপ নিয়ে আর শংকা থাকার কথা নয়। সুন্দরীর রুপ তাই উন্মুক্ত হয়। কিন্তু যে শংকায় সুন্দরী বাড়ি ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিল ছলিমের বাড়িতে, সেই শংকায় আবারো সে পড়ে। তালুকদার লোলুপ দৃষ্টি পড়ে তার ওপর। প্রাণ যায় ছলিমের; প্রাণ যায় সুন্দরীর। এমনই গল্প নিয়ে সিরাজগঞ্জের অন্যতম নাট্যদল নাট্যলোকের প্রযোজনায় নির্মিত হচ্ছে নতুন নাটক ‘রুপসুন্দরী’।
আগামী ১৮ ও ১৯ ফেব্রুয়ারি সিরাজগঞ্জের ভাসানি মিলনায়তনে নাটকটির প্রথম মঞ্চায়ন হবে। আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দর্শনায় নাটকটির দ্বিতীয় মঞ্চায়ন হবে।
দলপ্রধান মমিন বাবু বলেন, প্রায় হাজার বছর আগে ঘটে যাওয়া একটি ঘটনার কেন্দ্রীয় চরিত্র শীলাদেবী। সতীত্ব রক্ষার জন্য খরস্রোতা করতোয়া নদীতে আত্মাহুতি এবং তার লাশ ভেসে ওঠার স্থানে পূণ্যস্নান ও বাহ্নির মেলায় আয়োজন সবই জনশ্রুতি। কাল পরিক্রমায় সব ঘটনারই পরিবর্তন হয়। উন্নয়নের ছোঁয়ায় আধুনিকতা সৃষ্টি স্তরে পরিলক্ষিত হয়। কিন্তু নারীর প্রতি পুরুষের দৃষ্টিভঙ্গি হাজার বছর আগে ও পরে অপরিবর্তিত থাকে। রুপসুন্দরী নাটক সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতীকায়ন মাত্র।