বিশেষ প্রতিবেদক:
হালের উদীয়মান সঙ্গীতশিল্পী বেলী আফরোজ। ছোটবেলা থেকেই গানের সাথে বেড়ে ওঠা। বেসরকারি টেলিভিশন চ্যানেল নাইনের সংগীতবিষয়ক রিয়েলিটি শো ‘পাওয়ার ভয়েজ ২০১২’-এর মাধ্যমে পরিচিতি পান। সত্তরের অধিক চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক করেছেন তিনি। এছাড়াও তার একটি একক এবং বিশটি মিক্সড অ্যালবাম রয়েছে। সাম্প্রতিক সময়ে আলোচিত ‘হায়রে হায়রে’সহ তার গাওয়া এবং পারফর্ম করা দশটি মিউজিক ভিডিও রয়েছে। চলচ্চিত্রে প্লেব্যাক, স্টেজ, টেলিভিশন শো এবং মিউজিক ভিডিও নিয়ে তিনি ব্যস্ত সময় পার করছেন। নিজের ক্যারিয়ারসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে কালচারাল ইয়ার্ডের সঙ্গে আলাপ হয় তার।
কালচারাল ইয়ার্ড: আপনি কেমন আছেন?
বেলী আফরোজ: বেশ ভালো আছি।
কালচারাল ইয়ার্ড: গানের শুরুটা কবে থেকে ?
বেলী আফরোজ: ক্লাস থ্রি থেকেই গানের জগতে আমার পথ চলা শুরু হয়। আমার বড় ভাই সুমন একজন ড্রামার। ভাইয়ের দেখানো পথ ধরেই ব্লু বার্ডস নামে একটি ব্যান্ড দলে ড্রামার হিসেবে সঙ্গীত অঙ্গনে যাত্রা শুরু করি। পাশাপাশি ব্যান্ড দলটিতে গানও গাইতাম। প্রথমে চট্টগ্রামের যুব পরিষদে উস্তাদ মীর লালের কাছে গানের তালিম নেই। ঢাকায় আসার পর গান শেখা হয় উস্তাদ সঞ্জিত দে’র কাছে। ২০০৪ সাল থেকে স্টেজ শো করা শুরু করলেও ২০১২ সালে পাওয়ার ভয়েজ-এ অংশগ্রহণের পর দেশের সঙ্গীতঙ্গণে পরিচিতি পাই।
কালচারাল ইয়ার্ড: আপনার উল্লেখযোগ্য কাজগুলো সম্পর্কে বলুন।
বেলী আফরোজ: আমি এখন পর্যন্ত বেশ কিছু প্লেব্যাক, অ্যালবাম এবং নিজের গাওয়া কিছু গানের মিউজিক ভিডিওতে পারফর্ম করেছি। প্লেব্যাকের শুরু হয়েছিলো ‘রাঙা মন’ চলচ্চিত্রের মাধ্যমে। এরপর এ পর্যন্ত সত্তরের অধিক প্লেব্যাক করেছি। উল্লেখযোগ্য চলচ্চিত্রের মধ্যে উতলা মন, সর্বনাশা ইয়াবা, ভালোবাসা সীমাহীন, বুলেট বাবু, নগর মাস্তান, অন্তর জ্বালা অন্যতম। রকিবুল আলম রকিবের ‘নগর মাস্তান’র ‘পরী পরী পরী মনি তুই অপরুপ ডানা কাটা পরীরে’, মালেক আফসারীর ‘অন্তর জ্বালা’র ‘পোস্টার লাগাবো, ব্যান্ড বাজাবো’সহ বেশ কিছু গানের জন্য শ্রোতাদের অনেক প্রশংসা পেয়েছি।
২০১৫ সালে আমার প্রথম একক অ্যালবাম ‘মেঘলা মনে’ প্রকাশিত হয়। এছাড়া বিশটি মিক্সড অ্যালবামে কন্ঠ দিয়েছি।
আমার একক অ্যালবামের ‘ভালো থাকুক মন’, ‘ভাবের ঘর গান’ এই গান দু’টিসহ নিজের গাওয়া দশটি গানের মিউজিক ভিডিও করা হয়েছে। সর্বশেষ ধ্রুব মিউজিক স্টেশন (ডিএমএস) থেকে কবির বকুলের কথা এবং শওকত আলী ইমনের সুর ও সঙ্গীতায়জনে ‘হায়রে হায়রে’ গানটি ইউটিউবে এক মিলিয়নের অধিক দর্শক দেখেছে।
কালচারাল ইয়ার্ড: ‘হায়রে হায়রে’ গানে খুব ভালে নেচেছেন। অভিনয় বা নাচ করার কী পরিকল্পনা আছে?
বেলী আফরোজ: অভিনয় বা নাচ করার একদম কোন পরিকল্পনা নেই। বর্তমান সময়ে যার যার ভিডিওতে সে সে কাজ করছে। এটা আমাদের জন্য একটা প্লাস পয়েন্ট। কারণ মিউজক ভিডিওর মাধ্যমে গায়ক গায়িকারা পরিচিতি পাচ্ছে। ফলে এই ট্রেনডটা ধরেই আসলে আমরা কাজ করছি। আর আমি একজন সিঙ্গার এবং পারফর্মার। আমি যখন স্টেজে গান করি, তখন পারফর্ম করেই গান করি।
কালচারাল ইয়ার্ড: এখন পর্যন্ত কি কি ধরনের কাজ করেছেন ?
বেলী আফরোজ: লেলিন হায়দার ‘কেন এমন হয়’, প্রতীক হাসানের আপকামিং একটি চলচ্চিত্রসহ নতুন কিছু প্লেব্যাকের কাজ করছি। আমার দ্বিতীয় একক অ্যালবামটা নিয়ে কাজ করা হচ্ছে। এছাড়া কিছু মিক্সড অ্যালবামে কাজ করছি। স্টেজ শো, টেলিভিশন শো এবং নিজের গানের মিউজিক ভিডিও তো আছেই।
কালচারাল ইয়ার্ড: আপনার গানের ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা কি ?
বেলী আফরোজ: ক্যারিয়ার নিয়ে পরিকল্পনা বলতে গানের মাধ্যমে নিজে শুধু দেশে নয়, বিশ্বব্যাপী পরিচিত পেতে চাই। তাই এখন গান করছি। গান করে যাবো। গানের মাঝেই আজীবন বেঁচে থাকতে চাই।
কালচারাল ইয়ার্ড: আমরা জানি ২০০৮ সালে আপনি গায়ক মেজবাহউদ্দিন ঝিনুককে বিয়ে করেছেন। কেমন চলছে পারিবারিক জীবন?
বেলী আফরোজ: আলহামদুলিল্লাহ, বেশ ভালো চলছে। আমাদের একটা নয় বছরের মেয়ে আছে। তাকে নিয়ে আমরা পারিবারিকভাবে অনেক সুখে আছি।
কালচারাল ইয়ার্ড: আমাদেরকে সময় দেয়া জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
বেলী আফরোজ: আপনাদেরকেও ধন্যবাদ।