নিজস্ব প্রতিবেদক :
আবৃত্তি ও বাচিক শিল্পচর্চা প্রতিষ্ঠান হিসেবে নিজেদের প্রথম প্রযোজনা ‘কবিতায় আঁকি জীবন’ নিয়ে এসেছে ‘বৈঠক’। ৪ মে শুক্রবার সন্ধ্যা ৭ টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি’র স্টুডিও থিয়েটার হলে আয়োজন করা হয় এ প্রযোজনার। প্রযোজনাটির মাধ্যমে ‘বৈঠক’ ছুঁতে চেয়েছে ইতিহাস, প্রেম, মানবতা আর নারীর একান্ত কিছু অনুভূতিকে।
জীবনের নানাদিকের অবয়বকে ‘বৈঠক’ দেখতে চেয়েছে কবিতার বিমূর্ততায়। প্রযোজনাটিতে যেমন স্থান পেয়েছে অগ্রজ কবি’র কবিতা তেমনি সমসাময়িক কবি’র কবিতাও বৈঠকের সদস্যরা ভালোবেসে কন্ঠে তুলে নিয়েছে।
বাংলা সংস্কৃতির যে গভীর মানবিক মন্ত্র, সেই মন্ত্রকে বুকে নিয়ে মুক্তিযুদ্ধ ও অসাম্প্রদায়িক চেতনায় শানিত একদল সংস্কৃতিসাধক তরুণের প্রচেষ্টা এই ‘বৈঠক’।
‘বৈঠক’ এর প্রথম আয়োজনে উদ্বোধক হিসেবে ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালেয়ের সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. আ আ ম স আরেফিন সিদ্দিক। এছাড়া আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের টেলিভিশন, ফিল্ম অ্যান্ড ফটোগ্রাফি বিভাগের প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারপারসন অধ্যাপক ড. এ জেড এম শফিউল আলম। অভিনেতা, পরিচালক ও সাংস্কৃতিক সংগঠক গাজী রাকায়েত, বাংলাদেশ আবৃত্তি সমন্বয় পরিষদের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য বেলায়েত হোসেন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন ‘বৈঠক’ এর সভাপতি কবি শাহীন রেজা রাসেল।
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর, জীবনানন্দ দাশ, শামসুর রাহমান, আহসান হাবীব, আবু হেনা মোস্তফা কামাল, রফিক আজাদ, মোহাম্মদ মনিরুজ্জামান, নির্মলেন্দু গুণ, পূর্ণেন্দু পত্রী, রুদ্র গোস্বামী, সুবোধ সরকার, শক্তি চট্টোপাধ্যায়, শাহীন রেজা রাসেল সহ বিভিন্ন সময়ের বেশ কয়েকজন কবির ২৭টি কবিতা নিয়ে সাজানো হয়েছে সম্পূর্ণ প্রযোজনাটি।
আবৃত্তি করেন ‘বৈঠক’ এর ৬ জন প্রতিশ্রুতিশীল আবৃত্তি শিল্পী সালমা শবনম, নাজনীন নাজ, আনজোমোরা মুন্নী, উম্মে হাবিবা শিবলী, আসাদুজ্জামান সাজু এবং হাসান মাহাদী লালটু।
সংস্কৃতির চর্চা ও বিকাশে ‘বৈঠক’ দীর্ঘ পথ চলতে চায়। আগামীতে নিয়মিত প্রযোজনার পাশাপাশি বাচিক শিল্পের বিকাশে বৈঠক প্রশিক্ষণ কার্যক্রম শুরু করতে যাচ্ছে বলে প্রতিষ্ঠানটি থেকে জানানো হয়।