নিজস্ব প্রতিবেদক :
মা তিন ছেলেকে খুব ভালোবাসেন। কিন্তু মাকে নিজেদের কাছে রাখতে অনীহা তিন ছেলের। ভাইদের মধ্যে এ নিয়ে চলে নানা নাটকীয়তা। তবে এ তিন ছেলেই মা দিবসে লোক দেখানো ভালোবাসা দেখায়। ফেসবুক লাইভ করে, প্রোফাইল জুড়ে মায়ের ছবি রাখে। এক সময় মা বুঝতে পারে লোক দেখানো এ ভালোবাসা। তাই বাসা থেকে বের হয়ে নিজের নিবসনের দিকে হাঁটে মা। এ রকম এক গল্প নিয়ে আর এ রাহুল নির্মাণ করলেন স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র ‘মায়ের নিবসন’।
মা দিবসে ফিকশন ভিউ ইউটিউব চ্যানেলে প্রচার হবে এটি। ২০ মিনিটের এ চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেছেন এস. এম. শাহরিয়ার মুকবুল। সম্প্রতি উওরার লাবনী শুটিং হাউজে এ চলচ্চিত্রের শুটিং করা হয়েছে।
‘মায়ের নিবসন’ চলচ্চিত্রটি সম্পর্কে নির্মাতা আর এ রাহুল কালচারাল ইয়ার্ডকে বলেন, মায়ের আদরের তিন ছেলে, ছোট মেয়ে, ছেলের বউ ও সবার আদরের নাতনী সায়মাকে নিয়ে ‘মায়ের নিবসন’। ছবির গল্পে দেখা যায় তিন ছেলে প্রতি মাসে দশ দিন করে মাকে নিজেদের সাথে রাখে। মা তিন ছেলের সাথে ভাগা-ভাগি করে অসহায় বোঝার মতো প্রতি মাস পার করে। এবার মেঝো ছেলের বাসায় মা তিনদিন বেশি থেকেছে, অন্য দুই ভাই মাকে এই মাসে নিতে চাচ্ছে না বিভিন্ন সমস্যার অযুহাতে। ভাইদের মধ্যে শুরু হয় মায়ের ভরণ পোষণের ভাগাভাগি নিয়ে নাটকীয়তা।
কিন্তু মা দিবস উপলক্ষে সব ভাই বোনেরা এক হয় মায়ের সাথে সুন্দর সময় পার করতে। মা সন্তানদের বহু দিন পর একসাথে পেয়ে ভালোবাসায় আবেগ আপ্লুত হয়ে পড়ে। ওরা মাকে নিয়ে লোক দেখানো মা দিবস পালন করে, সোশ্যাল মিডিয়ায় মায়ের প্রতি ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ করে, ফেইসবুকে লাইভেও ছড়িয়ে দেয় মায়ের প্রতি ভালোবাসা, প্রতিটি প্রোফাইল পিকচার জুড়ে দেয় মায়ের ফটো।
মায়ের মন বোঝে না সন্তানরা যা করছে সবই লোক দেখানো। মা সব সময় চায় তার সন্তানরা ভালো থাকুক, কিন্তু মা যখন জিজ্ঞেস করে এবার কার বাসায় থাকবো? তখনই মায়ের সামনে শুরু হয় আরেক নাটকীয়তা, কেউ-ই মাকে রাখতে চাইনা। এক সময় মায়ের মন সব বুঝতে পারে, মা দিবসের নামে যে মিথ্যে আয়োজন সেটা মা বুঝতে পারে।
মায়ের নিবসন (বাসস্থান) থাকার পরও আশ্রয়হীন মা সন্তানদের ছেড়ে বাসা থেকে বেড়িয়ে যাবার সিদ্ধান্ত নেয়। ওরা বোঝে উঠতে পারে না মা যাচ্ছে কোথায়! কোথায় আছে মায়ের নিবসন? মা সন্তানদের জানায় সেই নিবসনের ঠিকানা!
চলচ্চিত্রটির বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছে মিতা মাহমুদা, রফিক নটবর, সাইফ জোয়ারদার, পড়শী রুমি, রিয়াজ রাজ, আফরিন নিশি ও শিশু শিল্পী আরিয়া অরিত্রা।