রবীন্দ্রনাথের কবিতা, গান ও আলোচনায় বাচিক চর্চা ও আবৃত্তি প্রতিষ্ঠান কণ্ঠশীলন আয়োজন করে রবীন্দ্রজয়ন্তীর অনুষ্ঠান। শুক্রবার সন্ধ্যায় রবীন্দ্রনাথ স্মরণে আয়োজন করা হয় ‘জয় মৃত্যুঞ্জয়ের জয়’। রাজধানীর নিউ এলিফ্যান্ট রোডে কণ্ঠশীলন কার্যালয়ে এ আয়োজনে কণ্ঠশীলন অধ্যক্ষ মীর বরকত স্বাগত বক্তব্যের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের শুভারম্ভ করেন।
এরপর একে একে অনুষ্ঠিত হয় আবৃত্তি, আলোচনা ও গান। ইলা রহমানের সঞ্চালনায় রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. বিশ্বজিৎ ঘোষ রবীন্দ্রনাথ নিয়ে নাতিদীর্ঘ আলোচনা করেন।
তিনি বলেন, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর ‘১৪০০ সাল’ কবিতাটি লিখেছিলেন একশত বছর আগে। একশত বছর পরে কি হতে পারে তা তিনি লিখে গিয়েছিলেন। তেমনি তাঁর অন্যান্য লেখাগুলো এখনও আমাদের সময়ের কথা বলে। মানুষের জীবনের সুখ-দুঃখ, হাসি-কান্না, আনন্দ-বিরহ, সংগ্রাম সকল বিষয়ে তিনি লিখে গেছেন। যা আজও মনে হয় আমাদের নিজেরই কথা।
এটিএম জাহাঙ্গীর ও শ্রেয়সী শ্রেয়ার গানের পাশাপাশি কণ্ঠশীলন সভাপতি গোলাম সারোয়ার আবৃত্তি করেন ‘শিশুতীর্থ’; রইস উল ইসলাম আবৃত্তি করেন ‘রবীন্দ্রোত্তর কয়েকজন যুবা’; বিলকিস আহমদ আবৃত্তি করেন ‘পঁচিশে বৈশাখ’; শফিক সিদ্দিকী আবৃত্তি করেন ‘কৃপণ’ এবং আফরিন খান আবৃত্তি করেন ‘ইচ্ছামতি’ কবিতা।
আলোচনা, সংগীত ও আবৃত্তি শিল্পীরা নিজেদের মধ্যে ধারণ করে যে রসের সৃষ্টি করেছেন তা এক কথায় অনবদ্য। অনুষ্ঠান শেষে দর্শক-শ্রোতা ভালো লাগার এক আবেশ নিয়ে বেরিয়ে আসেন।
অনুষ্ঠানে কন্ঠশীলনের সদস্যরা ছাড়াও সংগঠনের প্রাক্তন ও বর্তমান প্রশিক্ষকরা উপস্থিত ছিলেন।