নিজস্ব প্রতিবেদক:
ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া সাইমন সাদিক ও মাহিয়া মাহি অভিনীত ‘জান্নাত’ সিনেমা প্রথম সপ্তাহে কিছুটা পিছিয়ে ছিলো। পেয়েছিলো মাত্র ২২টি হল। এর মধ্যে ছিলো না ঢাকার কোন হল। ফলে ঢাকাসহ বিভিন্ন জায়গার দর্শকরা ‘পোড়ামন’ খ্যাত সাইমন-মাহি জুটির এই সিনেমাটি থেকে বঞ্চিত হয়। তবে দর্শকদের আগ্রহের কারণে দ্বিতীয় সপ্তাহ থেকে ছবিটির হল সংখ্যা বাড়তে থাকে। চতুর্থ সপ্তাহে এসে চলচ্চিত্রটি পায় প্রায় অর্ধশতাধিক হল।
ঈদের ছবিগুলোর মধ্যে ভিন্ন স্বাদের ‘জান্নাত’, যা দেখে মুগ্ধ সকলে। এর গল্প ও নির্মাণশৈলী ছিলো চমৎকার। সুদীপ্ত সাঈদের কাহিনী এবং আসাদ জামানের চিত্রনাট্য ও সংলাপে সিনেমাটি নির্মাণ করেছেন মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। এতে সাইমন-মাহি ছাড়া আরও অভিনয় করেছেন আলীরাজ, মিশা সওদাগর, মারুফ, শিমুল খান প্রমুখ।
এদিকে শুক্রবার থেকে সাতক্ষীরার সঙ্গীতা সিনেমা হলে ‘জান্নাত’ প্রদর্শনের কথা থাকলে স্থানীয়দের বাধার মুখে সিনেমাটির শো বন্ধ করে দেয়া হয় বলে জানিয়েছেন পরিচালক মোস্তাফিজুর রহমান মানিক। তিনি জানান, সিনেমাটি প্রদর্শন করতে দিচ্ছে না স্থানীয় কয়েকজন মুসল্লি। বিষয়টি নিয়ে আমরা প্রশাসনের সঙ্গে কথা বলছি। কিন্তু বাধার মুখে সিনেমা দেখানোর সাহস পাচ্ছে না সিনেমা হল কর্তৃপক্ষ।
বাধ্য হয়ে সঙ্গীতা সিনেমা হলে ‘জান্নাত’র স্থলে ‘সুলতান’ সিনেমা চালানো হচ্ছে- এমনটাই জানালেন হল মালিক আব্দুল হক। তিনি বলেন, ছবিটি ঈদের সময় চলার কথা ছিলো। পরে ১৪ সেপ্টেম্বর থেকে চালানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। সে অনুযায়ী প্রচার-প্রচারণাও চালানো হয়েছে। কিন্তু পুলিশ প্রশাসনের অনুরোধে ছবিটির শো বন্ধ করা হয়েছে। এতে আমরা আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছি।
সাতক্ষীরার পুলিশ সুপার সাজ্জাদুর রহমান জানান, স্থানীয় কয়েকটি মসজিদের ইমাম ও মুসল্লিরা ছবিটির নাম ‘জান্নাত’ নিয়ে আপত্তি তুলে তাতে অশ্লীল কিছু থাকলে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আনতে পারে বলে অভিযোগ করেছিল। এজন্য স্থানীয়ভাবে সিদ্ধান্ত নিয়ে সিনেমাটি না চালানোর অনুরোধ করা হয়েছে।
ছবির শো বন্ধ হওয়া উচিত হয়নি দাবি করে চিত্রনায়ক সাইমন সাদিক বলেন, জান্নাত ছবি ইসলামের পক্ষে, সরকারের পক্ষে। সেন্সর বোর্ড যেখানে ছাড়পত্র দিয়েছে, সেখানে প্রদর্শনী বন্ধ করার কোনো কারণ দেখি না।
তিনি বলেন, ঈদের সময় থেকে দেশের অনেক হলে ‘জান্নাত’ চলেছে। কোনো হল থেকে অভিযোগ আসেনি জান্নাতে ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত দিয়েছে।