উৎসবের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার মঞ্চ মাতিয়েছেন উপমহাদেশের প্রখ্যাত কণ্ঠশিল্পীরুনা লায়লা। শুক্রবার বিশেষ আকর্ষণ ছিলো ফ্যাশন শো। তবে উৎসবের তৃতীয় দিন সন্ধ্যায় থাকছে উৎসবের মূল আকর্ষণ। দেশের সেরা রকব্যান্ড নগরবাউল ও রকস্টার জেমস গান গাইবেন এ উৎসবে। এছাড়া রকব্যান্ড জলের গান, নেমেসিস এবং মিনার গান গাইবেন উৎসবে।
আড়ংয়ের চল্লিশ বছর পূর্তি অনুষ্ঠানে অন্যান্য আয়োজনের মধ্যে রয়েছে হস্তশিল্প প্রদর্শনী। রয়েছে এ বিষয়ে কিছু কর্মশালা। যেখানে দর্শনার্থীরা সরাসরি কারু ও হস্তশিল্পীদের কাজের সাথে পরিচিত হতে পারছেন। রয়েছে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠান ও ফ্যাশন শো।
এ উৎসব উপলক্ষে আর্মি স্টেডিয়ামে নানা শ্রেণির দর্শনার্থীদের ভিড় জমেছে। দর্শনার্থীদের জন্য রয়েছে খাবারের স্টল, বাচ্চাদের জন্য আলাদা জায়গা এবং পার্টনার প্রতিষ্ঠানের স্টলে বিশেষ সুবিধায় কেনাকাটার ব্যবস্থা। প্রাণবন্ত ও আনন্দমুখর পরিবেশ গোটা আর্মি স্টেডিয়ামে।
এর আগে বৃহস্পতিবার উৎসবের উদ্বোধনী বক্তৃতা করেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর। তিনি বলেন, নকশী কাঁথা, জামদানিসহ যে শিল্পের কথা আমরা বলি এসব নির্মানকারীরাই আসল শিল্পী। আড়ং তা যথাযথ ভাবে করে আসছে। আজকে আড়ংয়ের ৪০ বছর উদযাপন হচ্ছে, এটা সহজ কিছু নয়। আমি মনে করি আড়ং তাদের সৃষ্টিশীল কাজের জন্যই একদিন ৪০০ বছর পূর্তি করবে! অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি স্যার ফজলে হাসান আবেদ বলেন, ‘বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জনের পর পরই ব্র্যাকের মাধ্যমে দরিদ্র মানুষকে স্বাবলম্বী করার যে কর্মকাণ্ড আমরা শুরু করেছিলাম, তার সঙ্গে ঘনিষ্ঠভাবে জড়িয়ে রয়েছে আড়ং। প্রতিষ্ঠানটির মাধ্যমে অসংখ্য মানুষের কাজের সংস্থান হয়েছে। পাশাপাশি দেশজ পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। বিদেশেও দেশের নাম উজ্জ্বল হয়েছে।’
‘আড়ং ফোরটি ইয়ার্স ফেস্টিভ্যাল‘ -এ বাংলাদেশের হস্তশিল্পের ঐতিহ্য এবং কারুশিল্পীদের সাফল্যের গল্প তুলে ধরা হয়েছে। এ ছাড়া স্টেডিয়ামজুড়ে সাজানো হয়েছে আবহমান বাংলার নানা ঐতিহ্যবাহী জিনিসপত্রের পসরা। বর্ণিল এ আয়োজনে আবহমান বাংলাদেশকেই যেন ফুটিয়ে তোলা হয়েছে। স্টেডিয়ামের ভেতরে একপাশে সারি সারি কুঁড়েঘর। ছন ও বেত দিয়ে তৈরি করা প্রতিটি কুঁড়েঘরে দেখা গেছে রঙবেরঙের জামদানি শাড়ি, রিকশা পেইন্টিং, মাটির ব্যবহার্য সামগ্রী ও হরেক ডিজাইনের নকশিকাঁথা। উৎসবের পরতে পরতে আবহমান বাঙালি সংস্কৃতির ছোঁয়া।