নিজস্ব প্রতিবেদক:
সদ্যপ্রয়াত কিংবদন্তী ব্যান্ড সঙ্গীত শিল্পী আইয়ূব বাচ্চুর মৃত্যুর সময় দেশে ছিলেন না। সুদূর যুক্তরাষ্ট্র থেকে রোববার দেশে ফিরেই তাই ছুটে গেলেন বাচ্চুর মগবাজারস্থ এবি কিচেনে। অংশ নিলেন দোয়া মাহফিলে। স্মৃতিচারণ করে চোখের পানি মুছলেন সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুল।
রোববার সন্ধ্যায় সদ্য প্রয়াত কিংবদন্তি শিল্পী ও এলআরবির প্রতিষ্ঠাতা আইয়ুব বাচ্চুর নিজস্ব স্টুডিও মগবাজারস্থ এবি কিচেনে বাদ মাগরিব দোয়া ও মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এলআরবির সদস্যরা ও আইয়ুব বাচ্চুর পরিবার এবি কিচেন সংলগ্ন মসজিদে এই আয়োজন করেন।
‘এলআরবি’র প্রাক্তন সদস্য এসআই টুটুল সেখানে উপস্থিত হয়ে স্মৃতিচারণ করেন। দোয়া ও মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন গীতিকার প্রিন্স মাহমুদ, আসিফ আকবর, মেহরীন, হাসান আবিদুর রহমান জুয়েলসহ আইয়ুব বাচ্চুর বন্ধু, সহকর্মীরা। আইয়ুব বাচ্চুর ছেলে তাজওয়ার, মেয়ে সাফরাসহ পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও উপস্থিত ছিলেন।
দোয়া মাহফিলে উপস্থিত প্রয়াত আইয়ুব বাচ্চুর বন্ধু ও সহকর্মীরা
এস আই টুটুল জানান, আইয়ুব বাচ্চু যখন মারা যান তখন তিনি ছিলেন সুদূর যুক্তরাষ্ট্রে। সেখানে থেকেই মোবাইল ফোনের লাইভে জানাজায় অসংখ্য মানুষকে শরিক হতে দেখেছেন।
রবিবার দেশে ফিরেই তাই সবার আগে আইয়ুব বাচ্চুর পরিবারের কাছে ছুটে গিয়েছেন এসআই টুটুল। তিনি জানান, আইয়ুব বাচ্চুর জন্যই আজকে মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে তিনি প্রতিষ্ঠিত।
সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুলের আরও খবর :
⇒ আসছে সঙ্গীতশিল্পী এস আই টুটুলের নতুন দুই গান
টুটুল বলেন, সংগীত যে অনেক বড় জায়গা সেটা তার কাছে এসে তার সান্নিধ্য পেয়েই দেখা হয়েছে। আর সে জন্যই আজকে আমি এখানে। আমি আজকে যতটুকুই হতে পেরেছি সেটা উনার জন্য। আমি আইয়ুব বাচ্চুর সৃষ্টি। অনেক ছোটবেলা থেকেই উনাকে(আইয়ুব বাচ্চু) চিনি। তাঁর হাত ধরেই বাংলাদেশের মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিতে আমি এসেছিলাম। তার হাত ধরে যখন আমি এই অঙ্গনে এলাম, তখন থেকে বুঝেছি যে মাকে কীভাবে ভালোবাসতে হয়। উনার কাছে শিখেছি। মানুষদের কীভাবে ভালোবাসতে হয়, ফ্যানস ফলোয়ারদের কীভাবে ভালোবাসতে হয় এটা আমি তার কাছ থেকেই শিখেছি।
তিনি বলেন, মানুষের বায়োলোজিক্যাল ফাদার একজনই থাকে, কিন্তু শিক্ষার জন্য অনেকগুলো ফাদার থাকেন। শিক্ষায় তিনি ছিলেন আমার প্রথম ফাদার। যার কাছ থেকে আমি সঙ্গীতের পাশাপাশি জীবনের পাঠ নিয়েছি।