শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা পুরস্কার পেলেন ঝুমুর
প্রকাশের সময় :
নিজস্ব প্রতিবেদক :
বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমি আয়োজিত স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উৎসবে শ্রেষ্ঠ প্রামাণ্য চলচ্চিত্র নির্মাতা হিসেবে পুরস্কার পেলেন ঝুমুর আসমা জুঁই। প্রামাণ্য চলচ্চিত্র ‘পুতুল পুরান’র জন্য এ পুরস্কার জেতেন তিনি। চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী তাঁর হাতে পুরস্কারের চেক, ক্রেস্ট ও সনদপত্র তুলে দেন।
রোববার সন্ধ্যায় রাজধানীর শিল্পকলা একাডেমির চিত্রশালা মিলনায়তনে আয়োজিত ৮দিন ব্যাপী এ উৎসবের শেষ দিনে স্বল্পদৈর্ঘ্য ও প্রামাণ্য চলচ্চিত্র উভয়ক্ষেত্রে পৃথকভাবে শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র, শ্রেষ্ঠ নির্মাতা ও বিশেষ জুরি পুরস্কার দেওয়া হয়। শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্রকে ১ লাখ টাকা, শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতাকে ৫০ হাজার টাকা ও বিশেষ জুরি পুরষ্কার হিসেবে ২৫ হাজার টাকা অর্থমূল্যের চেক, ক্রেষ্ট ও সনদপত্র প্রদান করা হয়।
শিল্পকলা একাডেমির মহাপরিচালক লিয়াকত আলী লাকীর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চলচ্চিত্রকার সৈয়দ সালাহউদ্দিন জাকী। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে আরও উপস্থিত ছিলেন চলচ্চিত্র নির্মাতা মোরশেদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক ও চলচ্চিত্র সমালোচক ড. ফাহমিদুল হক প্রমুখ। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন জ্যোতিকা জ্যোতি।
সেরা স্বল্পদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় স্বজন মাঝি ও অসীম সরকার নির্মিত ‘গল্প সংক্ষেপ’। সেরা প্রামাণ্য চলচ্চিত্র পুরস্কার পায় ব্রাত্য আমীন নির্মিত ‘অপারেশন জ্যাকপট’। স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে শ্রেষ্ঠ নির্মাতা হিসেবে যৌথভাবে পুরস্কার পান ‘ঘ্রাণ’ চলচ্চিত্রের জন্য এস এম কামরুল আহসান ও ‘কবি স্বামীর মৃত্যুর পর আমার জবানবন্দি’ চলচ্চিত্রের জন্য তাসমিয়াহ আফরিন মৌ। স্বল্পদৈর্ঘ্য বিভাগে বিশেষ জুরি পুরস্কার পায় মাহমুদ হাসানের চলচ্চিত্র ‘ইতিবৃত্ত কিংবা বাস্তবতার পুনরারম্ভ’। প্রামাণ্য চলচ্চিত্র বিভাগে পুরস্কার পায় ফরিদ আহমেদের ‘লাল সবুজের দীপাবলী’
পুরস্কার অনুষ্ঠান শেষে শিল্পকলা একাডেমিতে কথা হয় ঝুমুর আসমা জুঁইয়ের সঙ্গে। তিনি কালচারাল ইয়ার্ডকে বলেন, আমি অত্যন্ত খুশি। আমার প্রত্যাশা ছিলো এ ছবিটির জন্য শ্রেষ্ঠ চলচ্চিত্র নির্মাতা পুরস্কার পাবো। এ ছবিটির সার্বিক তত্ত্বাবধানে যিনি বটবৃক্ষের মতো ছিলেন আমার শিক্ষক মানজারে হাসিন মুরাদ ও এ ছবির উপদেষ্টা ফরিদ আহমেদ স্যারের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি। তাদের ছাড়া এই নির্মাণ কাজ করাই সম্ভব ছিলো না। কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র ও টেলিভিশন ইনস্টিটিউটের প্রতি। তাদের প্রযোজনায় ও সহায়তায় এ চলচ্চিত্রটি নির্মিত হয়েছে।