নিজস্ব প্রতিবেদক :
জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও একুশে পদকপ্রাপ্ত চলচ্চিত্রকার চাষী নজরুল ইসলামের প্রয়াণ দিবস আজ । ২০১৫ সালের ১১ জানুয়ারি ঢাকার ল্যাবএইড হাসপাতালে শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। তিনিই বাংলাদেশের প্রথম মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক চলচ্চিত্র ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণ করেন।
এই বরেণ্য নির্মাতার প্রয়াণ দিবসে কালচারাল ইয়ার্ডের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা।
১৯৪১ সালের ২৩ অক্টোবর মুন্সীগঞ্জের শ্রীনগর উপজেলার সমষপুর গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন চাষী নজরুল ইসলাম। বাবা মোসলেহ উদ্দিন আহম্মদ ছিলেন ভারতের বিহারে টাটা আয়রন অ্যান্ড স্টিল কোম্পানির ইঞ্জিনিয়ার। ভারতের জামশেদপুরের টাটানগরে ১৯৫৫ সালে নির্মিত একটি প্রামাণ্যচিত্রে প্রথম অভিনয় করেন প্রখ্যাত এই নির্মাতা।
১৯৬০ সালে ফতেহ লোহানীর সঙ্গে আসিয়া সিনেমাতে সহকারী পরিচালক হিসেবে কাজ শুরু করেন। এরপর কাজ করেন ওবায়েদ উল হকসহ আরও অনেকের সঙ্গে। তখন তিনি একইসঙ্গে অভিনয়ও করেন বিভিন্ন চলচ্চিত্রে।
১৯৭২ সালে তিনি বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধভিত্তিক প্রথম পূর্ণাঙ্গ সিনেমা ‘ওরা ১১ জন’ নির্মাণ করেন। প্রায় ৩৫টির মতো ছবি নির্মাণ করেছেন তিনি। একাধিকবার জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারসহ পেয়েছেন অসংখ্য পুরস্কার।
মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক চলচ্চিত্র
⇒ আমাদের চলচ্চিত্রে মুক্তিযুদ্ধ
চলচ্চিত্র পরিচালনার পাশাপাশি বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চারবারের মতো সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডের সদস্য, যৌথ প্রযোজনা কমিটির নির্বাহী সদস্য, চলচ্চিত্র প্রযোজক ও পরিবেশক সমিতির সদস্য, ঢাকা মেট্রোপলিটন ফুটবল লীগ অ্যাসোসিয়েশনের (ডামফা) ফুটবল সম্পাদক, ব্রাদার্স ইউনিয়ন ক্লাবের ভাইস প্রেসিডেন্ট পদে দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি।
১৯৮৬ সালে ‘শুভদা’ আর ১৯৯৭ সালে ‘হাঙর নদী গ্রেনেড’ ছবির জন্য শ্রেষ্ঠ পরিচালক হিসেবে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার পান তিনি। ২০০৪ সালে তিনি একুশে পদকে ভূষিত হন।
এছাড়াও তিনি ‘সংগ্রাম’ ছবির জন্য বাংলাদেশ সিনে জার্নালিস্ট অ্যাসোসিয়েশন অ্যাওয়ার্ড (১৯৭৪), শের-ই-বাংলা স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮৮), স্যার জগদীশচন্দ্র বসু স্বর্ণপদক (১৯৯৫), জহির রায়হান স্বর্ণপদক (১৯৯৫) জহির রায়হান আজীবন সন্মাননা, আন্তর্জাতিক কালাকার পুরস্কারসহ (২০০৫) বহু পুরস্কারে ভূষিত হন।
তাঁর উল্লেখযোগ্য সিনেমাগুলোর মধ্যে রয়েছে, ওরা ১১ জন (১৯৭২), সংগ্রাম (১৯৭৪), ভালো মানুষ(১৯৭৫), বাজিমাত (১৯৭৮), দেবদাস (১৯৮২), চন্দ্রকথা (১৯৮৫), শুভদা (১৯৮৬), বেহুলা লক্ষিন্দর (১৯৮৭), বিরহ ব্যথা (১৯৮৮), মহাযুদ্ধ (১৯৮৮), বাসনা (১৯৮৯), দাঙ্গা ফাসাদ (১৯৯০), পদ্মা মেঘনা যমুনা (১৯৯১) প্রভৃতি।